নতুন বন্দর হচ্ছে লক্ষদ্বীপে। ছবি: সংগৃহীত।
মলদ্বীপ ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। তাই লক্ষদ্বীপ যাবেন বলেই স্থির করছিলেন। কিন্তু সে-ও বিশবাঁও জলে। আকাশপথে লক্ষদ্বীপ পৌঁছনোর একমাত্র বিমানবন্দর আগট্টি। আগামী দু’মাস সেখানে যাওয়ার জন্য বিমানে কোনও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে মিনিকয় দ্বীপুঞ্জে নতুন একটি বিমানবন্দর তৈরি করার কথা ভাবছে সরকার। সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, সামরিক, অসামরিক এবং পণ্য পরিবহণের জন্য বিমান ওঠানামা করবে সেই বন্দর থেকে।
মিনিকয় দ্বীপে বায়ুসেনার একটি ঘাঁটি আগেই ছিল। তবে সেখানে শুধুমাত্র যুদ্ধবিমানই ওঠানামা করে। এ বার স্বয়ংসম্পূর্ণ বিমানবন্দর হলে অসামরিক বিমান ওঠানামা করার ক্ষেত্রে সুবিধেই হবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের নজরদারি করতে অনেকটা সুবিধা হবে। দেশের পর্যটকদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের নজরে আসবে লক্ষদ্বীপ। লক্ষদ্বীপের জনপ্রিয়তার দিকে নজর দিয়ে, টাটা গোষ্ঠী ২০২৬ সালের মধ্যে সুহেলি এবং কদমত দ্বীপে দু’টি রিসর্ট খোলার পরিকল্পনা করছে। সুহেলি এবং কদমত, লক্ষদ্বীপের জনপ্রিয় দু’টি অংশ। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের পাশাপাশি দেশীয় পর্যটকদের জন্যও এটি একটি বড় পাওনা হবে।
ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্য করায় বিগত কয়েক দিনে যে ঝড় বয়ে গিয়েছে, তার জেরেই রোষের মুখে পড়েছে মলদ্বীপ সরকার। ‘বয়কট মলদ্বীপ’ ডাক দিয়েছেন বলিউড ও ক্রিকেট মহলের নক্ষত্রেরা। বলিউডের তরুণ ব্রিগেডও ভারতীয়দের লক্ষদ্বীপ ঘুরে দেখতে উৎসাহ দিচ্ছেন। মলদ্বীপ না গিয়ে যে লক্ষদ্বীপ যাবেন বলে ভেবেছিলেন পর্যটক, কিন্তু সেই চাপ সামাল দেওয়া এক প্রকার অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল। তাই পর্যটন শিল্পে জোয়ার আনতে সত্ত্বর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।