বন্দিপুর জাতীয় উদ্যানের ‘ব্র্যাঘ্রপ্রকল্প’ কর্মসূচির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেখানে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি- পিটিআই
পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গলের মধ্যে গিন্নির পছন্দ জঙ্গল। আবার গরমের ছুটিতে খুদে যেতে চায় ঠান্ডা কোনও পাহাড়ি জায়গায়। এপ্রিলের শুরুতেই যদি এত গরম পড়ে, তা হলে মে মাসে জঙ্গলে গেলে তো চাঁদি ফেটে যাওয়ার কথা। আবার পাহাড়ও থাকতে হবে। ভারতের মানচিত্রে এমন জায়গা খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ চোখ গিয়ে পড়ল কর্নাটকে। কারণ, কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘুরে এসেছেন সেখানকার ‘বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান’ থেকে। সেখানে ‘ব্র্যাঘ্রপ্রকল্প’ কর্মসূচির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগও দিয়েছিলেন তিনি। সেই জঙ্গল ভ্রমণের ছবিই ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে।
বন্দিপুর থেকে উটি, কোদাই কানাল, মুদুমালাইয়ের মতো জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ি অঞ্চলও বেশি দূরে নয়। মুদুমালাইয়ে রয়েছে ‘থেপাকাডু হস্তি ক্যাম্প’। সম্প্রতি ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ নামের যে তথ্যচিত্রটি অস্কার জিতেছে, তার শুটিং হয়েছিল এখানেই। চাইলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। এক যাত্রায় সব দিক রক্ষে হবে এই ভেবে ঠিক হল, এই বছর কর্নাটকের বন্দিপুর জাতীয় উদ্যানেই ঘুরতে যাওয়া হবে।
জঙ্গল একটাই। কিন্তু তিনটে রাজ্যে তিনটে নামে পরিচিত। কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং কেরল সীমান্তে অবস্থিত এই বিশাল জঙ্গল। কর্নাটকের অংশে এর নাম বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান, তামিলনাড়ু অংশে এর নাম মুদুমালাই এবং কেরলের অংশে এর নাম মুথাঙ্গা তথা লোয়ার ওয়েনাড় জাতীয় উদ্যান। কর্নাটকের চামরাজনগর জেলায় অবস্থিত বন্দিপুর, ব্র্যাঘ্র প্রকল্পের অধীনে ১৯৭৩ সালে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
কী ভাবে যাবেন?
বন্দিপুর যাওয়ার অনেকগুলি রাস্তা রয়েছে। কলকাতা থেকে আকাশপথে বা ট্রেনে বেঙ্গালুরু হয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এই জাতীয় উদ্যানে। আবার মাইসুরু হয়েও যাওয়া যায়। কলকাতা থেকে কোয়েম্বাত্তুর যাওয়ার ট্রেন, বিমানও রয়েছে। সেখান থেকে বাস বা ট্যাক্সিতে পৌঁছনো যায় বন্দিপুর।
কোথায় থাকবেন?
বন্দিপুর এবং মুদুমালাই পাশাপাশি দু’টি অরণ্য। চাইলে মুদুমালাইতেও থাকা যেতে পারে। দু’টি জায়গাতেই রয়েছে সরকারি রিসর্ট রয়েছে। বুকিং হয় অনলাইনে। তবে অনেক আগে থেকেই বুকিং করে রাখতে হবে, না হলে ঘর পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
কী কী দেখবেন?
বন্দিপুর জাতীয় উদ্যানের প্রধান বাসিন্দা হল হাতি। তবে বন্দিপুরে আলাদা করে ব্যাঘ্র প্রকল্পও রয়েছে। রয়েছে হাতি প্রকল্পও। মধ্যপ্রদেশের পর দেশের সবচেয়ে বেশি বাঘ রয়েছে কর্নাটকের এই জঙ্গলে। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপ, বাঁদর, বুনো মোষ, চিতল হরিণ। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, প্রজাপতি আরও কত কী। কপাল ভাল থাকলে লেপার্ড, রয়্যাল বেঙ্গলেরও দেখা মিলতে পারে।