কম খরচেই শীতের বেড়ানোর ঠিকানা! ছবি: সংগৃহীত।
হাতে সময় সত্যিই কম। মাস গড়ালেই বড়দিনের লম্বা ছুটি। তাই কোথায়, কত দিনের জন্য যাবেন, তার পরিকল্পনা সেড়ে ফেলতে আর দেরি করা চলবে না! নিশ্চয়ই ভাবছেন, যাওয়ার জায়গা তো অনেক আছে, কিন্তু যা খরচ তাতে পুজো খরচ সামলে বেড়ানোর বাজেট কুলোবে তো? সে কথা ভেবেই এখানে আপনাদের জন্য এমন কয়েকটি গন্তব্যের হদিস রইল, যেখানে আপনি হাজার দশেক টাকার মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন। তবে এর মধ্যে যাতায়াতের খরচ ধরা হয়নি। সময় ও সামর্থ্য অনুসারে ভ্রমণার্থীরা ঠিক করবেন তাঁরা ট্রেনে, বাসে না বিমানে গন্তব্যে পৌঁছবেন।
নামচি
৪৪০০ ফুট উচ্চতায় দক্ষিণ সিকিমের নামচি এলাকা সত্যিই আপনাকে মুগ্ধ করবে। কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ অন্যান্য তুষারশৃঙ্গের দৃশ্য দেখতে ঘুরে আসুন নামচি। গাড়িভাড়া করে যে জায়গাগুলি দেখতে যেতে পারেন, তার মধ্যে সামদ্রুপচে, রক গার্ডেন। এ ছাড়াও যেতে পারেন চারধাম যেখানে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, রামেশ্বরম, দ্বারকা, গঙ্গোত্রী ইত্যাদি মন্দিরের সুদৃশ্য রেপ্লিকা তৈরি হয়েছে অনেকটা জায়গা জুড়ে এ ছাড়াও আছে ১০৮ ফুট উচুঁ বিশাল এক শিবমূর্তি, সাঁই বাবার মন্দির। ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে নানা মানের থাকা খাওয়ার সুযোগ আছে এখানে।
কসোল
হিমাচলপ্রদেশের কুল্লু জেলার এই ছোট্ট শহরটি শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য। পার্বতী নদীর উপত্যকায় অবস্থিত ছোট্ট একটি জনপদ কসোল। যাঁরা ট্রেক করতে ভালোবাসেন, তাঁদের কাছে এই স্থানটি হতে পারে আদর্শ। এক দিকে সুউচ্চ হিমালয়ের সৌন্দর্য, অন্য দিকে পার্বতী নদীতে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে অংশগ্রহণ করার সুযোগ, দুই-ই মিলবে এখানে। জীবনে রোমাঞ্চ চাইলে ঘুরে আসুন কসোল থেকে। প্রতি দিনের খরচ হবে ১০০০ থেকে ১২০০।
পুদুচেরি
১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পুদুচেরি ছিল ফরাসি উপনিবেশ। ফরাসিরা বিদায় নিলেও এখানকার সংস্কৃতি কিংবা খাদ্যাভ্যাসে ফরাসিদের আঁচ রয়েই গিয়েছে। একক ভ্রমণের শখ থাকলেও এই স্থান হতে পারে আদর্শ। একটি স্কুটার ভাড়া করে নিজের মতো ঘুরে দেখতে পারেন সমুদ্র সৈকত, চার্চ ও অসাধারণ সব রেস্তরাঁ। অক্টোবর থেকে মার্চ মাস এখানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আদর্শ। খরচও মধ্যবিত্তের নাগালেই।
লুংলেই
মিজোরামের এই সুন্দর শহরটি অনেকের কাছেই অজানা। এই পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঘুরে আসুন লুংলেই। মনোরম পাহাড়ি পরিবেশ এবং অসাধারণ আবহাওয়া আপনার মন ভরিয়ে তুলবে। চার থেকে সাত হাজার টাকার মধ্যে মাথাপিছু খাওয়াদাওয়া, থাকা এবং ঘোরা হয়ে যাবে।
জিভি
সিমলা থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জিভি খুব একটা পরিচিত নাম নয়। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে অবস্থিত জিভির মূল আকর্ষণ গহীন অরণ্য ও জিভি জলপ্রপাত। দৈনিক ব্যস্ততা থেকে দূরে কোথাও নিরিবিলিতে থাকতে চাইলে এই স্থান আপনার জন্য আদর্শ। মাত্র ছ’কিলোমিটার ট্রেক করলেই পৌঁছে যাওয়া যায় সেরলসার লেকে। থাকা ও খাওয়ার খরচও নাগালের মধ্যেই।