travel

Winter Trip: অল্প দিনে ঘুরে আসুন গজলডোবা, রইল অপরূপ এই পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণের সাত সতেরো

কাঞ্চনজঙ্ঘা, সবুজ অরণ্য, অসংখ্য পরিযায়ী পাখি আর ধীর প্রবাহিনী তিস্তা। অপরূপ সৌন্দর্যে শীতের রুক্ষতা ভুলিয়ে দেবে গজলডোবা

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:০৫
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গজলডোবা

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গজলডোবা ছবি: সংগৃহীত

শীতের ছুটিতে অল্প দিনের মধ্যে কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসার জায়গা খুঁজছেন? আদর্শ গন্তব্য হতে পারে উত্তরবঙ্গের গজলডোবা। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গজলডোবাতে রয়েছে নীল জলাধার, সবুজ বনানী আর প্রাচীন হিমালয়ের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন, আর সঙ্গে রয়েছে পাহাড়ের রানি তিস্তা।

Advertisement
পরিযায়ী পাখি

পরিযায়ী পাখি ছবি: সংগৃহীত

কী দেখবেন
জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের ওদলাবাড়ির খুব কাছেই রয়েছে ছোট্ট গ্রাম গজলডোবা। সম্প্রতি সরকারী উদ্যোগে একে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। চাষের কাজের জন্য তিস্তার উপর বাঁধ দেওয়ার ফলে এখানে তৈরি হয়েছে নীল জলাধার। অসংখ্য পরিযায়ী পাখি প্রতি বছর ভিড় করে এই হ্রদগুলিতে। দেখা মিলতে পারে হাতিরও। গজলডোবার এক পাশে রয়েছে অপালচাঁদ অরণ্য এবং আর এক দিকে রয়েছে বৈকুন্ঠপুর অরণ্য। তিস্তা এখানে খরস্রোতা নয়। বরং যেন ধীর মন্দাকিনী। মৎস্যজীবীদের নৌকায় চেপে ভেসে পড়তে পারেন নদীতে। ভাগ্য ভাল থাকলে দেখা মিলতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘারও।

আরও পড়ুন:

কী করে যাবেন
শিলিগুড়ি বা জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নেমে খুব সহজেই চলে যেতে পারেন গজলডোবা। এনজেপি থেকে গাড়ি করে চলে আসা যায় এখানে। ঘণ্টা খানেকের বেশি সময় লাগে না। বাগডোগড়া থেকে এখানকার দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। নভেম্বর থেকে মার্চ গজলডোবায় যাওয়ার সেরা সময়।

কোথায় থাকবেন
গজলডোবায় সরকারী উদ্যোগে ২০০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে বুক করা যায় ঘর। হাতে সময় থাকলে, ঘুরে আসতে পারেন গরুমারা জাতীয় উদ্যানও। গজলডোবা থেকে গরুমারার দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন
Advertisement