শীতের ভ্রমণ হোক মসৃণ। ছবি: সংগৃহীত
কারওর কাছে শীত মানে লেপমুড়ি দিয়ে ঘুম, আর কারওর কাছে শীত মানে বড়দিনের ছুটি। আর এই ছুটিতে টাটকা বাতাস বুকে ভরে নেওয়ার জন্য অনেকেই চান কোথাও একটু ঘুরে আসতে। যাঁরা শীতের ছুটিতে কোথাও বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য রইল শীতের ভ্রমণকে সহজ করার কিছু উপায়।
১। বাংলা গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চল। কাজেই শীতের ভ্রমণ বাঙালিদের কাছে ছোটখাটো পরীক্ষার সামিল। তাই পরিকল্পনা করুন সময় নিয়ে। বিশেষত পাহাড়-প্রেমিক যদি হন, তা হলে আবহাওয়ার কথা ভাল করে জেনে তবেই বাছুন গন্তব্য। শীতের পাহাড়ে বরফ পাওয়া যেমন সহজ, তেমনই সম্ভাবনা থাকে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আটকে পড়ার।
২। আবহাওয়া অনুসারে ব্যাগ গোছান। শীতের ভ্রমণে ব্যাগের ওজন যে বাড়বে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। কিন্তু সেই ভয়ে প্রয়োজনীয় পোশাক না নিয়ে বার হলে সমস্যা হতে পারে। সঙ্গে নিন অতিরিক্ত মোজা। সব জায়গায় যে স্নানের সুব্যবস্থা পাবেন তার কোনও নিশ্চয়তা নেই, তাই সুগন্ধি নিতে ভুলবেন না। স্নান করার সুযোগ না পেলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যবস্থা আর কী!
৩। নিন অবশ্য প্রয়োজনীয় কিছু ফার্স্ট এড সামগ্রী। সর্দিকাশির ন্যূনতম ওষুধপত্র নেওয়াও একই রকম জরুরি। ভারতের জলবায়ুতে শীত শুষ্ক। তাই টের না পেলেও শরীরে জলের ঘাটতি ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সুতরাং জল পরিশুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ওষুধ নিন সঙ্গে করে। শীতকালে যদি আমাশয় হয়, তা হলে নিরিবিলি স্থানও অশান্তির জায়গা বলে প্রতিভাত হতে পারে।
৪। ভ্রমণের আগে জানিয়ে যান পরিচিত মানুষজনকে। যাতে প্রয়োজনে খোঁজ খবর নিতে অসুবিধা না হয়। শীতকালে অনেক জায়গাই রাতে নিঝুম হয়ে যায়, সেই সুযোগে বাড়ে চুরির ঘটনা। বাড়ি ফাঁকা রেখে যেতে হলে জানিয়ে যেতে পারেন স্থানীয় থানায়। ইদানীং প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ধরনের বেশ কিছু সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
৫। যে কোনও ধরনের সমস্যায় সবচেয়ে আগে কাজে আসে প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব। কাজেই কাজে লাগান কাণ্ডজ্ঞান। শীতকে অবহেলা করে অকারণ দাদাগিরি ফলানোর কোনও মানেই নেই। তা ছাড়া কোভিডের প্রকোপ এখনও কমেনি, তাই বেড়াতে গিয়ে সাবধানতায় ঢিলে দেওয়া চলবে না একেবারেই।