বর্ষায় ঘুরে আসুন দেশের সেরা ৫ জলপ্রপাত ছবি: সংগৃহীত
ভ্রমণপিপাসুদের অনেকেই বেড়ানোর পরিকল্পনা করার সময় বর্ষাকাল এড়িয়ে চলেন। মূলত যাতায়াতের সমস্যা আর বাইরে ঘুরতে বেরোনো যায় না বলেই এমন ভাবনা। কিন্তু এ কথাও অস্বীকার করা যায় যে, বর্ষাকালের প্রকৃতি এমন এক অনন্য সাজে সেজে ওঠে যা অন্য সময় দেখতে পাওয়া কঠিন। বিশেষ করে কোনও জলপ্রপাতের রূপ পরিপূর্ণ ভাবে দেখতে পাওয়ার সেরা সময় বর্ষা। রইল তেমনই পাঁচটি জলপ্রপাতের হদিস।
দুধসাগর জলপ্রপাত, গোয়া
বর্ষায় প্রকৃত অর্থেই সাদা সাগর হয়ে ওঠে এই জলপ্রপাত । মাণ্ডবী নদীর এই জলপ্রপাত উচ্চতায় হাজার ফুটেরও বেশি। বর্ষার জলে পরিপুষ্ট হলে চওড়াতেও কয়েকশো ফুট বিস্তৃত হয়ে যায় প্রপাতের দুধসাদা জলরাশি। বেলগাবি থেকে ভাস্কো ডা গামা যাওয়ার রেলপথে একটি সেতু রয়েছে এই জলপ্রপাতের উপর। সেখান থেকেই এই জলপ্রপাত সবচেয়ে ভাল দেখা যায়।
নোহকালিকাই, মেঘালয়
এক সময় পৃথিবীর সবচেয়ে বর্ষণমুখর স্থান ছিল চেরাপুঞ্জি। সেই চেরাপুঞ্জি থেকে মাত্র ৭.৫ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে নোহকালিকাই জলপ্রপাত। শোনা যায় এই জলপ্রপাত থেকে ঝাঁপ দিয়ে নাকি আত্মহত্যা করেছিলেন লিকাই নামের এক মহিলা, আর সেখান থেকেই প্রপাতটির এই নাম।
চিত্রকূট, ছত্তিশগড়
ছত্তিশগড়ের এই জলপ্রপাত থেকে অনেকই ভারতের নায়াগ্রা বলে থাকেন। ছত্তিশগড়ের বাস্তারে ইন্দ্রবতী নদী প্রায় ৯০ ফুট ঝাঁপিয়ে তৈরি করেছে এই বিশাল জলপ্রপাতটি। চওড়াতেও এটি ভারতের অন্যতম সবচেয়ে প্রশস্ত জলপ্রপাত। বর্ষায় নদীর জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে চিত্রকূটের রূপও।
যোগ জলপ্রপাত, কর্ণাটক
ঘন সবুজ অরণ্যের মধ্যে দিয়ে লাফিয়ে নামছে বিপুল জলরাশি। আর তারই মধ্যে দেখা যাচ্ছে রামধনু। কর্ণাটকের সিমোগা জেলার ৮২৯ ফুট উঁচু যোগ জলপ্রপাত দেখলে মনে হবে রূপকথার কোনও দেশের অজানা কোনও প্রপাত।
হোগেনাক্কাল, তামিলনাড়ু
কন্নড় ভাষায় হোগেনাক্কাল কথার অর্থ ধোঁয়া ওঠা পাথর। আসলে কাবেরী নদীর অদ্ভুত এই জলপ্রপাতটি ছোট-বড় প্রায় ১৪টি ধারায় নেমে আসে নীচে। যা দেখে মনে হয়, যেন পাথরের মধ্যে থেকেই বেরিয়ে আসছে জল। আবহাওয়া ভাল থাকলে জলপ্রপাতের নীচে ছোট ছোট ঝুড়ির মতো নৌকায় করে নৌকাবিহারও করা যায়। শুধু শীত ও বর্ষাতেই এই নৌকা চালু থাকে।