বৃষ্টিতে পাহাড়ে যাবেন কিন্তু গায়ে জল লাগবে না। ছবি: সংগৃহীত
বৃষ্টি হচ্ছে বলে তো ঘুরতে যাওয়া বন্ধ থাকতে পারে না। আর ঘুরতে গিয়ে বৃষ্টি পড়ছে বলে হোটেলবন্দি হয়ে বসেও থাকবেন না। ঘুরতেও বেরোবেন, আবার বৃষ্টিতেও ভিজবেন। ভিজে জামা পরে, জুতো থেকে জল বসে ঠান্ডা লাগতেই পারে। তবে ভিজে পোশাক পরে ঠান্ডা লাগবে বলে একগাদা পোশাক নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার তো কোনও মানে হয় না। দিন কয়েকের ছুটিতে ঘুরতে গিয়ে ঠান্ডা লেগে জ্বর সর্দি হতেই পারে। কিন্তু অফিস তো আর ছুটি দেবে না। তাই ঘুরতে গেলেও নিজের খেয়াল নিজেকেই রাখতে হবে। বুদ্ধি করে এমন পোশাক নিতে হবে, যেগুলি চট করে শুকিয়ে যেতে পারে। পোশাক ভিজে গেলেও যেখানে-সেখানে পাল্টানো বা কিছু ক্ষণ আদুল গায়ে থাকতে পারেন পুরুষেরা। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে তেমন উপায় নেই। তাই মেয়েদের এই ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বর্ষায় ঘুরতে গেলে সঙ্গে অবশ্যই কিছু জিনিস রাখা জরুরি।
১) বর্ষাতি
পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল— যেখানেই যান না কেন, সঙ্গে বর্ষাতি রাখতেই হবে। সঙ্গে বর্ষাতি থাকলে হোটেলের ঘরে আটকে থেকে বৃষ্টি দেখতে হবে না। পোশাকের উপর বর্ষাতি চাপিয়ে বর্ষার জল গায়ে মেখে উপভোগ করতেই পারেন।
২) উইন্ডচিটার
কনকনে ঠান্ডা হোক বা বৃষ্টির জল— উইন্ডচিটার কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই কাজ করে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই গায়ে চাপিয়ে নিতে পারেন। তাই এ ধরনের একটি পোশাক রাখা বাঞ্ছনীয়।
৩) তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় এমন জামা
বৃষ্টির জল গায়ে লাগলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় এমন কাপড়ের পোশাক সঙ্গে রাখুন। শুধু শার্ট বা ট্রাউজ়ার্সের বদলে রং মিলিয়ে দু’টি সেট রাখতে পারেন। বৃষ্টির জল তাড়াতাড়ি শুকিয়েও যাবে আবার ছবিও ভাল আসবে।
৪) গামবুট
ধরুন পাহাড়ের কাদা রাস্তা বা জলপ্রপাতের ধারে এমন জায়গায় যেতে হল, যেখানে পা মাটিতে বসে যায়। সে ক্ষেত্রে কায়দার জুতো নষ্ট তো হবেই। উল্টে ছিঁড়েও যেতে পারে। তাই সব দিক বজায় রাখতে গামবুটই শ্রেয়।
৫) চপ্পল
চামড়ার জুতো একেবারেই বাদ। সম্ভব হলে পাহাড়ে ওঠার ক্যানভাসের জুতোগুলিও এ সময়ে বাদ দেওয়া ভাল। এমনি সাধারণ রাস্তায় চলাফেরা করার জন্য পোশাকের সঙ্গে মানানসই কায়দার বেশ কয়েকটি চপ্পল সঙ্গে রাখতে পারেন। তবে ওই জুতো পরে জঙ্গলে যাওয়ার সাহস দেখাবেন না। জোঁকের আক্রমণ রুখতে পারবেন না।