Christmas Destination

নদীর তীরে চড়ুইভাতির ইচ্ছে? কলকাতার পাশে হাওড়াতেই আছে মনের মতো জায়গা

হুগলি নদী ও দামোদর নদের সংযোগস্থলের কাছে প্রায় ১০৬ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র। চড়ুইভাতি করতে বহু মানুষ ভিড় জমান এখানে। কী ভাবে যাবেন হাওড়ার এই পর্যটন কেন্দ্রে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:২২
হুগলি নদী ও দামোদর নদের সংযোগস্থলের কাছে প্রায় ১০৬ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক।

হুগলি নদী ও দামোদর নদের সংযোগস্থলের কাছে প্রায় ১০৬ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক। ছবি: সংগৃহীত।

হাওড়া জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক। শুধু হাওড়া নয়, প্রতি বছরই পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলি থেকেও বহু পর্যটক ভিড় জমান হাওড়ার এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। হুগলি নদী ও দামোদর নদের সংযোগস্থলের কাছে প্রায় ১০৬ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্র। চড়ুইভাতি করতেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এখানে। পর্যটন কেন্দ্রের মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে উলুবেড়িয়া-শ্যামপুর রোড। রাস্তার পূর্ব দিকে নদীর ধারে খোলা জায়গায় চড়ুইভাতির আসর বসে। পশ্চিম দিকে আছে পার্ক এবং চিড়িয়াখানা।

তবে শেষ ৩ বছরে করোনা, উমফুন ঝড়ের মতো বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে পার্ক ও চিড়িয়াখানা বন্ধ ছিল। চলতি মাসের ১৫ তারিখ পার্ক ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। এত দিন পার্কটির দেখাশোনার দায়িত্বে ছিল জেলা পরিষদ। সম্প্রতি পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। তারাই পার্কটিকে নতুন করে সাজাচ্ছে। নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে বসার ও বোটিং করার জায়গা।

Advertisement
হাওড়া জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক।

হাওড়া জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।

কী করে যাবেন

হাওড়া থেকে উলুবেড়িয়াগামী যে কোনও বাসে উঠে উলুবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে নামুন। তার পর সেখান থেকে বাস বা ট্রেকারে ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া যায়। হাওড়া থেকে উলুবেড়িয়া ৪৫ মিনিটের পথ। ধর্মতলা থেকে গড়চুমুক আটান্ন গেট বাসস্টপ ৬০ কিলোমিটার। পৌঁছতে সময় লাগবে সওয়া ২ ঘণ্টা। মুম্বই রোড ধরে গাড়ি চালিয়ে উলুবেড়িয়া এসে শহরের ভিতরে ঢুকে গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র।

থাকার জায়গা

পিকনিক করার জন্য গড়চুমুক গেলে সকালে গিয়ে বিকেলের মধ্যেই ফিরে আসা যায়। তবে থাকতে চাইলে এখানে কয়েকটি বেসরকারি গেস্ট হাউস আছে। জেলা পরিষদের লজেও থাকা যায়। অধিকাংশ আবাসই নদীমুখী।

আরও পড়ুন
Advertisement