ঘুরে নিতে পারেন দার্জিলিং ও কালিম্পঙের তিন অল্প চেনা ঠিকানায়। ছবি: সংগৃহীত।
একঘেয়ে জীবন থেকে ছুটি নিয়ে বেড়ানোর ইচ্ছে হলেই উত্তরবঙ্গ যদি পছন্দের তালিকায় থাকে, তা হলে ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিং ও কালিম্পঙের কাছে তিন অচেনা ও স্বল্প চেনা ঠিকানায়।
ফাজি
সবুজ চা-বাগিচা, আঁকাবাঁকা পথ, নদী, ফুল, পাখির কলকাকলি— সমস্ত কিছু নিয়েই ফাজি। দার্জিলিঙের এই গ্রামের নাম এখনও জানেন না অনেকেই। অনেক গাড়িচালকের কাছেও এই ঠিকানা অজানা। তবে উত্তরবঙ্গে পাহাড়ি গ্রামে পর্যটকেরা ঠিক যা যা খোঁজেন, তার সমস্তই আছে ফাজিতে। দু’দিন প্রকৃতির মাঝে কাটানোর অন্যতম ঠিকানা এই গ্রাম। এখানে মিলবে গ্রাম্য মানুষের উষ্ণ আতিথেয়তা ও প্রকৃতির নিবিড়তা। কোলাহল বর্জিত এই স্থানে দুটো দিন থেকে গ্রামের রাস্তায় হেঁটে উপভোগ করা যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
কী ভাবে যাবেন?
এনজেপি থেকে দূরত্ব ৪৬ কিলোমিটার। শেয়ার গাড়িতে কার্শিয়াং গিয়ে সেখান থেকে ফাজি যেতে পারেন। এনজেপি থেকে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা। দার্জিলিং থেকেও যেতে পারেন। সোনাদা গুম্ফা পার হয়ে টুং-এ আসতে হবে। সেখান থেকে চলে গিয়েছে ফাজি যাওয়ার পথ।
কোথায় থাকবেন:
থাকার জন্য হাতেগোনা কয়েকটি হোম স্টে রয়েছে ফাজিতে। সেখানেই একসঙ্গে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা।
পাবং
কালিম্পং শহরের ব্যস্ততা ছাড়িয়ে খানিক গেলেই পাওয়া যাবে ছোট ছোট পাহাড়ি গ্রাম। কালিম্পং থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এমনই এক গ্রাম। পাবং। মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে এখান থেকেই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা না দিলেও, মেঘ-কুয়াশার খেলা দেখতে দেখলেও দিব্যি সময় কেটে যাবে। এখান থেকে ঘুরে নেওয়া যায় চারখোল। লাভাও খুব কাছে। ফলে ডাবলিন ভিউ পয়েন্ট, নকদারা, লাভার গুম্ফা-সহ অনেক কিছুই ঘুরে নেওয়া যায় আশপাশে।
কী ভাবে যাবেন?
এনজেপি থেকে সরাসরি পাবংয়ে যাওয়ার গাড়ি ভাড়া করে নিতে পারেন। এ ছাড়া শেয়ার গাড়িতে কালিম্পং এসে, বাকি পথ গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন:
থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোম স্টে রয়েছে পাবংয়ে।
মিম
দার্জিলিং থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে চা-বাগানকে ঘিরে তৈরি হয়েছে আর এক পর্যটনকেন্দ্র। কাঞ্চনজঙ্ঘা, চা-বাগান, খরস্রোতা নদী ও জঙ্গল, গুম্ফা— এই সমস্ত কিছুই পাওয়া যাবে মিম চা-বাগানে। লেপচাজগৎ ও সুখিয়াপোখরির মধ্যেই মিম বস্তি। সেই বস্তির পাশেই চা-বাগানে এখন পর্যটকেরা আসছেন নির্জনতার খোঁজে। অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বর বা ডিসেম্বর নাগাদ এলে এখান থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলার সম্ভাবনা বেশি।
কী ভাবে যাবেন?
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে মিম চা-বাগানের দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার। গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন। আবার এনজেপি থেকে ঘুম, ঘুম থেকে সুখিয়াপোখরি শেয়ার গাড়িতে আসা যায়। দার্জিলিং ঘুরে, সেখান থেকে গাড়ি নিয়েও মিম চলে আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন: মিম চা-বাগানে এবং তার আশপাশে কয়েকটি হোম স্টে রয়েছে।