Bizzare Rules

দেশ-দেশান্তরের অদ্ভুত নিয়ম, যাওয়ার আগে না জানলে মোটা টাকা জরিমানাও হতে পারে

মনের মতো পোশাক পরে ঘুরতে গেলেন। আর তার জেরেই নেমে এল শাস্তির খাঁড়া। এমনও হয়। কোন কোন দেশের নিয়মকানুন অদ্ভুত বলে মনে হতে পারে?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:১০
দেশ-দেশান্তরের অদ্ভুত নিয়ম।

দেশ-দেশান্তরের অদ্ভুত নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।

শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই রয়েছে নিজস্ব নিয়মকানুন। কিন্তু জানেন কি, কোনও এক দেশে যা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার, অন্য দেশে সেই একই কর্মকাণ্ড ঘটালে ঘাড়ে নেমে আসতে পারে শাস্তির খাঁড়া?

Advertisement

যেমন ধরুন পায়রা বা পাখিকে খাবার খাওয়ানো। ভারতে তা পুণ্যের কাজ। জীবসেবা। তবে সামান্য পায়রাকে দানা খাওয়াতে গিয়ে কিন্তু মোটা টাকা গচ্চা যেতে পারে যদি আপনি ইটালি যান। এখানকারই বিখ্যাত শহর ভেনিস। ছোট-বড় দ্বীপ নিয়ে তৈরি এই শহরের অন্যতম আকর্ষণ গন্ডোলায় চেপে জলবিহার। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে ঠাঁই পাওয়া ভেনিস জুড়ে রয়েছে স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন। সেন্ট মার্ক'স ব্যাসিলিকা, ডোজে'স প্যালেস, সংগ্রহশালা-সহ এখানকার স্থাপত্যকীর্তি দেখতে ছুটে আসেন অসংখ্য পর্যটক।

এই  শহরে পায়রাকে খাওয়াতে গেলেই দিতে হবে জরিমানা।

এই শহরে পায়রাকে খাওয়াতে গেলেই দিতে হবে জরিমানা। ছবি: সংগৃহীত।

কিন্তু জানেন কি, এই শহরে ভালবেসে পায়রাকে খাবার দিতে গেলে, গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা? ২০০৮ সালে এখানে নিয়মটি চালু হয়। এক সময় এই শহরে উড়ে বেড়াত অসংখ্য পায়রা। পর্যটকেরা তাঁদের খাবার দিতেন। বহু লোকের রুজিরুটি ছিল পাখির খাবার বিক্রি করা। কিন্তু পায়রার মলত্যাগে, ঝরে পড়া পালকে বহু প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি নষ্ট হচ্ছে, এমনই কারণ দেখিয়ে তা বন্ধ করা হয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় অবশ্য পরবর্তীতে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তবে ভেনিসে গেলে এ ব্যাপারে সাবধান হওয়াই ভাল।

আজব নিয়ম আর কোথায়?

যে কোনও দেশেই দুর্ঘটনা রুখতে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের আইনকানুন রয়েছে। কিন্তু এমন দেশও আছে যেখানে গাড়ির গতি যত বেশিই হোক না কেন, কোনও আইনি গেরোয় পড়তে হবে না।

জার্মানির অটোবান।

জার্মানির অটোবান। ছবি: সংগৃহীত।

জার্মানির বেশ কিছু জাতীয় সড়ক রয়েছে এই নিয়মের আওতায়। এই জাতীয় সড়কগুলিকে বলা হয় অটোবান। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই সড়কপথের বিস্তার ১২০০ কিলোমিটার। ১৯৩০ সালে অটোবান তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মূলত দ্রুত গতিতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং স্থানগুলিতে পৌঁছনোর জন্যই রয়েছে এই রাস্তা। তিন থেকে চার লেনের রাস্তায় গাড়ি ছোটে দুরন্ত গতিতে। অটোবানে বেশির ভাগ গাড়ির সর্বোচ্চ গতির কোনও সীমা নেই।

জামাকাপড়েও নিয়ম?

জঙ্গলে ঘুরতে গেলে বা পাখি দেখতে গেলে, সাধারণত পরিবেশপ্রেমীরা জংলা ছাপ বা সামরিক কেতার ছাপওয়ালা পোশাক পরে থাকেন। এগুলিকে বলা হয় 'ক্যামোফ্লাজ়'। এর সুবিধা হল, চট করে সবুজের মধ্যে মিশে যাওয়া যায়। এই পোশাক নিয়ে ভারতে কোনও সমস্যা না থাকলেও আমেরিকার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন দ্বীপ এবং রাষ্ট্রে ক্যামোফ্লাজ় জামা পরলে শাস্তি অনিবার্য। জামাইকা, বারবাডোজ়, সেন্ট লুসিয়া-সহ একাধিক দেশ এবং দ্বীপে এ নিয়ে নিষেধা়জ্ঞা রয়েছে।

তার কারণ হল, এই ধরনের পোশাক পরেন সামরিক বাহিনীর সদস্যেরা। মনে করা হয়, পর্যটক বা দ্বীপের বাসিন্দারা এমন জামাকাপড় পরে সহজেই সামরিক বাহিনীর মধ্যে মিশে যেতে পারেন। দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারেন। এই সমস্ত দ্বীপ এবং দেশে শুধু ক্যামোফ্লাজ় জামা বা প্যান্ট নয়, এমন ছাপওয়ালা টুপি এবং ব্যাগ ব্যবহারও বেআইনি।

আরও পড়ুন
Advertisement