কার্লোস আলকারাজকে। ছবি: রয়টার্স।
এ বারের উইম্বলডনের আগে ঘাসের কোর্টে খেলার অভিজ্ঞতা বলতে সাকুল্যে তিনটি প্রতিযোগিতা। শীর্ষ বাছাই হিসাবে অল ইংল্যান্ড ক্লাবের কোর্টে খেলতে নামলেও তাই হোঁচট খেয়ে এগোতে হচ্ছে কার্লোস আলকারাজকে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালির মাত্তেয়ো বেরেত্তিনিকে স্পেনের তরুণ হারালেন ৩-৬, ৬-৩, ৬-৩, ৬-৩ ব্যবধানে। ৩ ঘণ্টা ৪ মিনিট লড়াই করে উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলেন শীর্ষ বাছাই আলকারাজ।
রজার ফেডেরার, নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদাল এবং অ্যান্ডি মারে গত ২০ বছর উইম্বলডনে শীর্ষ বাছাইয়ের মর্যাদা পেয়ে এসেছেন। দু’দশক পর এই চার জনের বাইরে কেউ শীর্ষ বাছাইয়ের মর্যাদা পেয়েছেন এ বছর। উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ এটিপি ক্রমতালিকাকে মান্যতা দেওয়ায় শীর্ষ বাছাই হয়েছেন আলকারাজ। যদিও তাঁর খেলার মধ্যে সেই ছাপ দেখা যাচ্ছে না। ঘাসের কোর্টে খেলার অভিজ্ঞতার অভাব চোখে পড়ছে সব প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই। আনফোর্সড এরর করছেন প্রচুর। সোমবার করলেন ২৩টি। করছেন ডাবল ফল্ট। সোমবারও ছ’টি ডাবল ফল্ট করলেন।তবু এগোচ্ছেন ২০ বছরের টেনিস খেলোয়াড়।
সোমবার বিশ্বের ৩৮ নম্বর বেরেত্তিনির কাছেও প্রথম সেট খোয়ালেন। অষ্টম গেমে আলকারাজের সার্ভিস ভাঙেন বেরেত্তিনি। ৪২ মিনিটের প্রথম সেটে আলকারাজ এক বারও প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভাঙার মতো জায়গায় পৌঁছতে পারেননি। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার পর অবশ্য খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো দাপালেন সেন্টার কোর্টে। দ্বিতীয় সেটের প্রথম গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল। খেলার মোড় ঘুরল চতুর্থ গেমে। ম্যাচে প্রথম বার আলকারাজের চেনা আগ্রাসী টেনিস দেখা গেল। প্রতিপক্ষকে কোনও পয়েন্ট না দিয়ে তাঁর সার্ভিস ভাঙলেন আলকারাজ। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সেট দখল করতে অসুবিধা হয়নি আলকারাজের। দাপটে খেলে ৪০ মিনিটে ৬-৩ গেমে জয় পেলেন শীর্ষ বাছাই। ফলাফল দাঁড়ায় ১-১।
তৃতীয় সেটের তৃতীয় গেমে তীব্র লড়াই হল দুই প্রতিপক্ষের। শেষ পর্যন্ত বেরেত্তিনির সার্ভিস ভাঙেন আলকারাজ। নবম গেমে আবার প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভেঙে ৬-৩ ব্যবধানে সেট জিতে নেন তরুণ খেলোয়াড়। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর চতুর্থ সেটেও বেরেত্তিনিকে আর সুযোগ দেননি শীর্ষ বাছাই। অস্টম গেমে প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভাঙার পর নিজের সার্ভিস ধরে রেখে সেট এবং ম্যাচ জিতে নেন। তৃতীয় সেটে দু’জনের লড়াই হয় ৫৫ মিনিট। ফলাফল দেখে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, চতুর্থ সেটে আলকারাজের জয় কিন্তু ততটা সহজে আসেনি।