টেলর ফ্রিৎজ। ফাইল চিত্র।
রাফায়েল নাদালের থেকে তাঁর উচ্চতা পাঁচ ইঞ্চি বেশি। কিন্তু ২৪ বছরের টেলর ফ্রিৎজ ধারে ভারেও প্রায় নাদালের উচ্চতার কাছাকাছিই। উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালেই তা প্রমাণ করে দিলেন।
২০১৬ সাল থেকে গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেললেও এ বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগে কখনও তৃতীয় রাউন্ড টপকাতে পারেননি ফ্রিৎজ। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করা ফ্রিৎজ ২০১৫ সালে ইউএস ওপেনের জুনিয়র সিঙ্গলস জেতেন। সেই বছর ফরাসি ওপেনের জুনিয়র সিঙ্গলসে রানার-আপ হয়েছিলেন তিনি। জুনিয়র টেনিসে দাপট দেখানো ফ্রিৎজ সেই বছরেই নেমে পড়েন বড়দের টেনিসে। প্রথম এটিপি ম্যাচ খেলেন পাবলো বুস্টার বিরুদ্ধে। জিতেও নেন সেই ম্যাচ। একের পর এক সাফল্য তাঁকে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্ব ক্রমতালিকায় ৬০০ থেকে ২৫০-র মধ্যে এনে দেয়। তাঁর আগে এই কীর্তি ছিল মাত্র আট জন খেলোয়াড়ের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নাদাল এবং নোভাক জোকোভিচও।
শুরুর দিকের এই সাফল্য সিনিয়র গ্র্যান্ড স্ল্যামের মঞ্চে সে ভাবে দেখা যায়নি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চতুর্থ রাউন্ড খেলা ফ্রিৎজ উইম্বলডনে পৌঁছে যান কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখানেই তিনি মুখোমুখি হন নাদালের। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রিৎজ হারান অস্ট্রেলিয়ার জেসন কুবলারকে। ফ্রিৎজের জোরালো সার্ভ চিন্তায় ফেলছে বিপক্ষকে। তাঁর এক একটি সার্ভ প্রায় ২৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে আছড়ে পড়ে। সেই সার্ভ ফিরিয়ে দেওয়া অনেক সময়ই কঠিন হয় বিপক্ষের পক্ষে। তাঁর ফোরহ্যান্ড এবং ব্যাকহ্যান্ডও যথেষ্ট জোরালো। টপস্পিনও করাতে পারেন তিনি।
টেনিস খেলতে গিয়েই প্রেমে পড়েন ফ্রিৎজ। আমেরিকার টেনিস খেলোয়াড় রাকুয়েল পেদ্রাজাকে বিয়ে করেন। ২০১৭ সালে তাঁদের একটি সন্তানও হয়। কিন্তু পেদ্রাজার সঙ্গে ফ্রিৎজের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। বর্তমানে ফ্রিৎজ প্রেম করছেন মর্গান রিডলের সঙ্গে। উইম্বলডনের প্রতিটি ম্যাচে দর্শক আসনে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ফরাসি ওপেনের সময়ও উপস্থিত ছিলেন রিডল। সেখানে যদিও ফ্রিৎজ বিদায় নেন দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই।
নাদালের বিরুদ্ধে উইম্বলডন কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর লড়াই কিন্তু আগামীর বার্তা রেখে গেল। এ বার থেকে ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে ফ্রিৎজের নামও থাকবে আলোচনায়।