shooting

অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর হোটেল, প্রতিবাদ জাতীয় খেলোয়াড়দের, চাপে বিকল্প ব্যবস্থা কর্তাদের

দিল্লির দু’টি হোটেলে ৮৮জন শুটার, কোচের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একটির ঘর এবং খাবারের মান নিয়ে আপত্তি জানান জাতীয় শিবিরের শুটাররা। অভিযোগ, প্রথমে গুরুত্ব দেননি এনআরএআই কর্তারা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৬
picture of shooting

জাতীয় শিবিরের শুটাররা হোটেলের মান নিয়ে আপত্তি জানান। ছবি: টুইটার।

বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিয়েছেন দেশের সেরা শুটাররা। তাঁদের রাখা হয়েছিল দিল্লির একটি হোটেলে। ঘরগুলি অপরিচ্ছন্ন এবং অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় শুটাররা সেই হোটেলে থাকতে রাজি হননি। আপত্তি জানানোর পরেও সমাধান না হওয়ায় কয়েক জন সমাজমাধ্যমে সরব হন। তার পরই ১৫ জন শুটারের জন্য থাকার বিকল্প ব্যবস্থা করল ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (এনআরএআই)।

খেলোয়াড়দের হোটেল পছন্দ না হওয়ার বিষয়টি প্রথমে গুরুত্ব দেননি শুটিং কর্তারা। কয়েক জন সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদ জানানোয় হুঁশ ফেরে তাঁদের। বিকল্প ব্যবস্থার জন্য চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু অন্য হোটেলে একসঙ্গে এত ঘর পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত দিল্লির তুঘলকাবাদের কার্নি সিংহ শুটিং রেঞ্জে থাকার ব্যবস্থা করা হয় শুটারদের। এনআরএআইয়ের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘উপায় না দেখে আমরা খেলোয়াড়দের কার্নি সিংহ শুটিং রেঞ্জে থাকার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ওরা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। ১৫জন শুটার ওই হোটেলে থাকতে রাজি হয়নি।’’

Advertisement

ফরিদাবাদের দু’টি হোটেলে জাতীয় শিবিরে যোগ দেওয়া ৮৮ জন শুটারকে রাখার ব্যবস্থা করেছিল এনআরএআই। একটি হোটেলের ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি তোলেন শুটাররা। অস্বাস্থ্যকর এবং অপরিচ্ছন্ন ঘর ছাড়াও হোটেলের খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। সুরজকুণ্ড মেলার জন্য দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার কোনও হোটেলেই ঘর খালি নেই। তাই বিকল্প হোটেলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেও সফল হননি কর্তারা। কিছুটা বাধ্য হয়েই শুটারদের কার্নি সিংহ শুটিং রেঞ্জে থাকার প্রস্তাব দেন তাঁরা। শুটাররা তা মেনে নেওয়ায় স্বস্তিতে এনআরএআই কর্তারা। সংস্থার এক কর্তা বলেছেন, ‘‘শিবিরে শৃঙ্খলা রাখার জন্য আমরা সবাইকে একই হোটেলে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এক সঙ্গে ৮৮ জন শুটার এবং কোচের থাকার ব্যবস্থা একটি হোটেলে করা যায়নি। তাই দু’টি হোটেলে ভাগ করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার মধ্যেই একটি হোটেলের মান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে শুটাররা। আবার এত জনকে একসঙ্গে শুটিং রেঞ্জে রাখাও সম্ভব নয়।’’

যদিও হোটেল নিয়ে শুটারদের আপত্তি প্রথমে কর্তারা গুরুত্ব দিতে চাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েক জন বিরক্ত শুটার প্রতিবাদ জানানোর জন্য সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করায় টনক নড়ে এনআরএআই কর্তাদের। বিতর্ক এড়াতে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়। সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদী শুটার এবং কোচদের অনুরোধ করা হয়েছে, নতুন পোস্ট করে তাঁদের সন্তুষ্টির কথা জানানোর জন্য। বিশ্বকাপ খেলতে ১৫ ফেব্রুয়ারি কায়রো উড়ে যাবে শুটারদের প্রথম দল। দ্বিতীয় দল রওনা হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি।

আরও পড়ুন
Advertisement