ব্রোঞ্জ জয় বজরঙের। ছবি: রয়টার্স
বিখ্যাত ফোগাট পরিবারের জামাই তিনি। গত বছর মহাবীর সিংহ ফোগাটের মেয়ে সঙ্গীতা ফোগাটকে বিয়ে করেন এই কুস্তিগির। কুস্তিগির গীতা, ববিতা, ঋতু ফোগাটের বোন সঙ্গীতা। দিনের পর দিন স্কুল কামাই করা সেই কুস্তিগির বজরং পুনিয়াই টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ এনে দিলেন ভারতকে।
হরিয়ানায় স্থানীয় এক আখড়ায় বাবাকে কুস্তির অনুশীলন করতে দেখতেন বজরং। সেই দেখেই কুস্তির প্রতি ভালবাসা তৈরি হয় তাঁর। ২০১৫ সাল অবধি স্থানীয় আখড়াতেই অনুশীলন করতেন তিনি। ছ’বছর আগে তাঁর পরিবার সনপাটে চলে আসেন তাঁকে নিয়ে। সাইতে (স্পোর্টস অথারিটি অব ইন্ডিয়া) ভর্তি করা হয় বজরংকে।
স্কুলে যখন পড়তেন, দিনের পর দিন স্কুল কামাই করে কাদা মাঠে কুস্তি লড়তে চলে যেতেন বজরং। রেলে কর্মরত এই কুস্তিগিরের খেলার প্রতি ভালবাসাই সাফল্য এনে দিয়েছে বার বার। অলিম্পিক্সের মঞ্চেও সেই ভালবাসাই যেন ফুটে উঠছে তাঁর লড়াইয়ের মধ্যে।
২০১৮ সালে কমনওয়েলথে সোনা জিতেছিলেন বজরং। সেই বছর এশিয়ান গেমসেও সোনা জেতেন তিনি। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে। এ বার অলিম্পিক্সে ৬৫ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতলেন তিনি।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সাতটি পদক, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি, এশিয়ান গেমসে দুটি এবং কমনওয়েলথ গেমসে দুটি পদক রয়েছে বজরংয়ের। অলিম্পিক্সের পদকও তাঁর গলায় উঠল।