শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র।
চার জন ক্রিকেটারকে রিজার্ভ হিসাবে ভারতীয় দলের সঙ্গে আমেরিকায় পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে থেকে শুভমন গিল এবং আবেশ খানকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে নিয়ে যাবেন না রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়েরা। কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝে?
রিজার্ভ হিসাবে দলের সঙ্গে যাওয়া রিঙ্কু সিংহ এবং খলিল আহমেদ দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় যাবেন। আমেরিকায় ভারতীয় শিবিরে ১৯ জন ক্রিকেটার থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে থাকবেন ১৭ জন। শনিবার কানাডার বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে ভারত। সুপার এইট পর্বে ভারতের খেলা রয়েছে ২০, ২২ এবং ২৪ জুন। ভারতীয় দল শেষ চারে উঠলে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলবে। সেই ম্যাচ ২৭ জুন। তার পর ফাইনাল ২৯ জুন। অর্থাৎ, পরের পর্ব থেকে এক দিন অন্তর ম্যাচ খেলতে হবে ভারতীয় দলকে। দুই ক্রিকেটারকে দেশে ফেরত পাঠানোর কারণ এই সূচি।
ভারতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে পৌঁছনোর পর মাত্র দু’দিন ঠিক মতো অনুশীলনের সুযোগ পাবে। তার পর এক দিন অন্তর ম্যাচ খেলতে হবে। ফলে দু’ম্যাচের মাঝের দিন খুব বেশি হলে প্রথম একাদশের বাইরের ক্রিকেটারেরা হালকা অনুশীলন করতে পারেন। গোটা দলের একসঙ্গে পুরোদমে অনুশীলনের সুযোগ নেই। এই যুক্তিতেই চার জন অতিরিক্ত ক্রিকেটারকে দলের সঙ্গে রাখতে চাইছেন না দ্রাবিড়। বরং দেশে পাঠিয়ে দিলে শুভমন, আবেশ কয়েক দিন পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে প্রাক্-মরসুম প্রস্তুতি শুরু করতে পারবেন। ভারতীয় দলের এক সহকারী কোচ বলেছেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে আমাদের এক দিন অন্তর ম্যাচ খেলতে হবে। ঠিক মতো অনুশীলনের সুযোগ বা সময় নেই। সে কারণেই দু’জনকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খলিলকে রেখে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, অনুশীলনে বাঁহাতি বোলার প্রয়োজন হলে ও সাহায্য করতে পারবে। আর ব্যাটার হিসাবে থাকছে রিঙ্কু।’’
মূল দলের ১৫ জন ছাড়া কোনও ক্রিকেটারকে দলের ডাগআউট বা সাজঘরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রিঙ্কু সিংহেরা ভারতীয় দলের খেলা দেখছেন গ্যালারিতে বসে। তাই শনিবার কানাডার বিরুদ্ধে ম্যাচেও শুভমন এবং আবেশকে মাঠে নিয়ে যাওয়া হবে না। এ দিন রাতেই তাঁরা সম্ভবত মুম্বইয়ের বিমানে উঠবেন।