T20 World Cup 2024

১০৬ দিন ধরে তৈরি স্টেডিয়াম ভাঙা হবে ৪২ দিনে! রাখা হচ্ছে না বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচের মাঠ

বুধবার ভারত-আমেরিকা ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিউ ইয়র্কের স্টেডিয়াম ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ৪২ দিনের মধ্যে ওই স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলা হবে। তৈরি করতে লেগেছিল ১০৬ দিন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪ ১৪:৪৬
India vs Pakistan

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। যা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ছবি: পিটিআই।

ভেঙে ফেলা হবে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। তৈরি করতে সময় লেগেছিল ১০৬ দিন। সেই স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলা হবে ৪২ দিনে। বুধবার ভারত-আমেরিকা ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্টেডিয়াম ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিউ ইয়র্কে আর কোনও ম্যাচ বাকি নেই। শেষ ম্যাচ ছিল বুধবার। আইসেনহাওয়ার পার্ককে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। স্টেডিয়ামটিকে আবার তার পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে সাধারণ মানুষ আবার আগের মতো সময় কাটাতে পারবেন। শেষ দু’সপ্তাহ ধরে মাঠে ঢুকতে গেলে যে পরিমাণ নজরদারির মধ্যে দিয়ে যেতে হত, এখন আর তা হবে না।

স্টেডিয়ামটি এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছিল যাতে বিশ্বকাপের ম্যাচ শেষ হলেই সহজে ভেঙে ফেলা যায়। সব কিছুই ছিল অস্থায়ী। তবে সব কিছু খুলে ফেলা হলেও পিচ নিয়ে কী হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি। অস্ট্রেলিয়া থেকে ড্রপ ইন পিচ এনে খেলা হচ্ছিল। আইসিসি-র এক আধিকারিক বলেন, “ওরা যদি রাখতে চায় রাখতে পারে। তবে পিচের পরিচর্যা করতে হবে।”

প্রয়োজনে পিচ ফ্লোরিডায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আউটফিল্ড সরানো হবে না। সেটা যেখানে ছিল, সেখানেই থাকবে। নিউ ইয়র্কের এই মাঠেই মেজর লিগ ক্রিকেট আয়োজন করার কথা উঠেছিল। কিন্তু নিউ ইয়র্ক ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি খুব একটা আগ্রহী নয়। তাই মাঠ ভেঙেই ফেলে হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির মালিক অম্বানি গোষ্ঠী। তারা নতুন মাঠ তৈরি করতে চায়।

নিউ ইয়র্কের পিচ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেখানে ব্যাটারদের খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল। ড্রপ ইন পিচ ঠিক মতো তৈরি নয় বলেও অভিযোগ ছিল। কিন্তু সরকারি ভাবে আইসিসি-র কাছে কোনও দল অভিযোগ করেনি। তাই আইসিসি-ও সেটা নিয়ে ভাবছে না।

Points Table

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement