উইকেট নেওয়ার পর প্যাট কামিন্সের উচ্ছ্বাস। হাত মেলাচ্ছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ছবি: এক্স।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করলেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার পেসার এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকটি করে ফেললেন। গত ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। সুপার ৮-এর ম্যাচে ফিরেই দাপট দেখালেন কামিন্স।
১৮তম ওভারের শেষ দু’টি বলে পর পর মাহমুদুল্লা এবং মেহেদি হাসানকে আউট করেন কামিন্স। এর পর ২০তম ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন তোহিদ হৃদয়ের উইকেট। কামিন্সের আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছ’জন বোলার হ্যাটট্রিক করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার পেসার সপ্তম বোলার হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন। ব্রেট লি-র পর কামিন্সই দ্বিতীয় অস্ট্রেলীয় যিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই কীর্তি গড়লেন। উল্লেখ্য, লি-র হ্যাটট্রিকটিও ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
ম্যাচে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন কামিন্স। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৪০ রানে। স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা নেন দু’উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টোয়নিস এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৪১) এবং তোহিদ হৃদয় (৪০) ছাড়া কেউই তেমন রান করতে পারেননি।
১৪১ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরু থেকেই দাপট দেখায়। বৃষ্টির জন্য প্রথম বার খেলা বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত তারা ৬.২ ওভারে ৬৪ রান তুলেছিল। তখনও পর্যন্ত কোনও উইকেট হারায়নি অস্ট্রেলিয়া। ক্রিজ়ে ছিলেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (৩২) এবং ট্রেভিস হেড (৩১)।
বৃষ্টি থামার পর ম্যাচ শুরু হতেই বিপত্তি। আউট হয়ে যান হেড (৩১) এবং মিচেল মার্শ (১)। ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তা হতে দেননি ওয়ার্নার এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁরা দ্রুত রান তুলছিলেন। ১১.২ ওভারে আবার খেলা বন্ধ হয়। বৃষ্টি নামে। তার পর আর খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। সেই সময় অস্ট্রেলিয়া ১০০ রান তুলেছিল। ডাক-ওয়ার্থ লুইস মেথডে ২৮ রানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।