ভারত-পাকিস্তানের লড়াই।
দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সফর অনেক দিন ধরেই বন্ধ। যে কারণে আইসিসি প্রতিযোগিতার অন্যতম আকর্ষণই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তানের লড়াই। আর চলতি বছরে সে লড়াই দেখা যাবে ২৪ অক্টোবর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘সুপার ১২’ পর্যায়ে।
বিশ্বকাপ লড়াইয়ে নামতে মুখিয়ে আছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজ়ম। এ বারের কুড়ির বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল ভারতে। কিন্তু কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে এ দেশে না হয়ে সেই প্রতিযোগিতা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ওমানে। সংগঠক অবশ্য ভারতই। মঙ্গলবারই আইসিসি-র তরফে পূর্ণাঙ্গ বিশ্বকাপ সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। আর তার পরে পাক অধিনায়ক বাবর বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানের কাছে কিন্তু ঘরের মাঠে খেলার মতোই হবে ব্যাপারটা। আমিরশাহিতে আমরা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে খেলছি। এখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত।’’ যোগ করেন, ‘‘আমিরশাহিতে আমরা অনেক শক্তিশালী দলকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের এক নম্বর হয়েছি।’’
পাক অধিনায়ক জানাতে ভোলেননি যে, তাঁর দলের ক্রিকেটারেরা মুখিয়ে আছেন এই দ্বৈরথে নামতে। বাবরের কথায়, ‘‘দলের ক্রিকেটারেরা সবাই নিজেদের এই প্রতিযোগিতায় মেলে ধরতে চায়। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে আবার নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চায়।’’
গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড বলেছেন, ‘‘আমাদের গ্রুপে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকা আছে। প্রতিযোগিতায় নামার জন্য মুখিয়ে আছি।’’ শেষ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ইডেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। তার পরে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে অইন মর্গ্যানের দল। এ বারও ইংল্যান্ড অন্যতম ফেভারিট। মর্গ্যানের মন্তব্য, ‘‘যে কোনও দলের সুযোগ আছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’’
আফগানিস্তানে প্রবল অশান্তির কারণে প্রশ্ন উঠেছিল, বিশ্বকাপে কি শেষ পর্যন্ত খেলতে পারবেন রশিদ খান-মহম্মদ নবিরা? আফগান ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে অবশ্য আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সমস্যা হবে না।