Wrestlers' Protest

কুস্তিগিরদের বিক্ষোভে সতর্ক অমিত শাহের পুলিশ, নিরাপত্তা বাড়ল দিল্লির তিন সীমান্তে

কুস্তিগিরদের দাবি না মানলে দিল্লি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন কৃষকনেতারা। সেই কারণে আগে থেকেই দিল্লির তিনটি সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে রাজধানীর পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ১৫:২৮
Wrestler protest at Jantar Mantar

সাক্ষীদের বিক্ষোভের সময় দিল্লির যন্তর মন্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। —ফাইল চিত্র

কৃষকনেতারা দিল্লি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রকে। তাঁদের দাবি, কুস্তিগিরদের দাবি মেনে ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে গ্রেফতার করা না হলে ৫ জুন তাঁরা দিল্লি ঘেরাও করবেন। এই হুঁশিয়ারি হালকা ভাবে নিচ্ছে না সরকার। ইতিমধ্যেই দিল্লির তিনটি সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

দিল্লির সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে দিল্লি পুলিশ। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশ করা বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের কৃষকেরা এই সীমান্তগুলিতেই অবস্থান বিক্ষোভ করেছিলেন। তাই এ বার আগে থেকে তৎপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার বৈঠকের পরে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান রাকেশ টিকায়েত বলেছিলেন, ‘‘কুস্তিগিরদের এই হেনস্থা মেনে নেওয়া যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার এক জনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আমরা ঠিক করেছি পাঁচ দিনের মধ্যে কুস্তিগিরদের দাবি না মানা হলে ৫ জুন দিল্লি ঘেরাও হবে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে কৃষকেরা গিয়ে দিল্লি সীমান্ত ঘেরাও করবে। তা ছাড়া দিল্লিতে দুধ ও সব্জির জোগান বন্ধ করে দেব আমরা।’’

কৃষকনেতাদের কথাতেই হরিদ্বারে গঙ্গায় নিজেদের সব পদক না ভাসিয়ে ফিরে এসেছেন কুস্তিগিরেরা। দেশের সম্মান যাতে নষ্ট না হয়, সেই কারণেই তাঁরা কুস্তিগিরদের বুঝিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন রাকেশ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘দেশের হয়ে পদক জিততে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে কুস্তিগিরদের। তাই ওরা পদক গঙ্গায় ভাসিয়ে দিলে দেশের অসম্মান হত। সেই কারণেই ওদের আটকেছি। কিন্তু পাঁচ দিনের মধ্যে সরকার দাবি না মানলে ওদের আর আটকাতে পারব না।’’

ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের গ্রেফতারির দাবিতে আন্দোলন করছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটের মতো কুস্তিগিরেরা। ঘটনার তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। তারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যাতে তাঁকে গ্রেফতার করা যায়। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement