শনিবার সোনা জিতলেন সুইটি।ভারতের সপ্তম বক্সার হিসাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতলেন। ছবি: পিটিআই
শনিবার ভারতের ঘরে বক্সিংয়ে দ্বিতীয় সোনা এল। নীতু ঘাঙ্ঘাসের পর সোনা জিতলেন সুইটি বোরা। লাইট হেভিওয়েট (৮১ কেজি) বিভাগে তিনি হারালেন চিনের ওয়াং লিনাকে। ফলে শনিবার যে দুই ভারতীয় বক্সার ফাইনালে উঠেছিলেন, দু’জনেই সোনা জিতলেন। ভারতের সপ্তম বক্সার হিসাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতলেন সুইটি।
সাম্প্রতিক কালে বক্সিংয়ে সুইটির পারফরম্যান্স আকর্ষণীয়। এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা জিতেছিলেন তিনি। এ বার বিশ্বসেরা হলেন। তার আগে দেশে-বিদেশে একাধিক পদক জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন তিনি।
খেলাধুলোর পাশাপাশি হরিয়ানার হিসারের মেয়ে এক সময় যোগ দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাতেও। রাজস্থানের দৌসাতে কংগ্রেস নেতা রাহুলের মিছিল পৌঁছনোর পর স্বামী দীপক হুডাকে সঙ্গে নিয়ে সেই যাত্রায় পা মেলাতে দেখা গিয়েছিল সুইটিকে। বক্সিংয়ের ঘুষি মারার ভঙ্গিতে ছবিও তুলেছিলেন দু’জনে।
সুইটির স্বামী দীপকও ক্রীড়াবিদ। নামের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক ক্রিকেটারের মিল থাকলেও দীপক যুক্ত কবাডি দলের সঙ্গে। গত বছরের জুলাইয়ে তাঁরা বিয়ে করেন। নিকটাত্মীয় এবং পরিবারের লোকজনের সামনেই বিয়ে হয়েছিল।
শনিবার ভারতকে প্রথম সোনা এনে দেন নীতু। ৪৮ কেজি বিভাগে নীতুকে নিয়ে পদকের আশা ছিল ভারতের। পদকের রং সোনালি হবে, তা হয়তো অনেকে ভাবতে পারেননি। তবে ২২ বছরের তরুণী বক্সার ফাইনালে ওঠার পর তাঁকে নিয়ে আশা বাড়ে ভারতীয় বক্সিং মহলের। নিরাশ করেননি তিনি। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের আসর থেকে দেশকে দিয়েছেন প্রথম সোনা।
ফাইনালে আগ্রাসী মেজাজে নেমেছিলেন নীতু। প্রতিপক্ষ মঙ্গোলিয়ার বক্সারকে কোনও সুযোগই দেননি। শুরু থেকেই তাঁর একের পর এক ঘুষি আছড়ে পড়ে প্রতিপক্ষের উপর। ভারতের ষষ্ঠ বক্সার হিসাবে (পুরুষ এবং মহিলা মিলিয়ে) বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতলেন নীতু। এর আগে ২০২২ সালে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছিলেন। তাই তাঁকে নিয়ে পদকের আশা ছিল প্রথম থেকেই।
মহিলাদের বক্সিং বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের এই নিয়ে ১২টি পদক এল ভারতের ঝুলিতে। মেরি কম একাই ছ’বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তিনি ২০০২, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৮, ২০১০ এবং ২০১৮ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এক বার করে পদক জিতেছেন সরিতা দেবী (২০০৬), জেনি লালরেমলিয়ানি (২০০৬), লেখা চেট্টাদি (২০০৬) এবং নিখাত জ়ারিন (২০২২)।