মনজুর হুসেন। ফাইল চিত্র
বিল বকেয়া থাকায় পাকিস্তানের প্রাক্তন অলিম্পিয়ান মনজুর হুসেনের দেহ দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রাখার অভিযোগ উঠল লাহৌরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানতে পেরে পাকিস্তান হকি ফেডারেশন সেই বিল মেটালে মনজুরের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় বিতর্ক ছড়িয়েছে।
হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা নিয়ে সোমবার ভোরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল মনজুরকে। সেখানে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়। কয়েক ঘণ্টা পরে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। চিকিৎসকরা মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার পরেও দেহ ছাড়তে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, চিকিৎসার পুরো খরচ মেটানো হয়নি।
মনজুরের পরিবার বিষয়টি জানায় হকি সংস্থাকে। জানতে পেরে পদক্ষেপ করে তারা। সংস্থার এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘৫ লক্ষ পাকিস্তানি টাকা না দিতে পারায় মনজুরের দেহ বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল। পাকিস্তান হকি ফেডারেশন সেই বিল মিটিয়ে দেয়। তার পরে মনজুরের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেয় হাসপাতাল।’’ হকি সংস্থার অভিযোগ, মনজুরের মতো এক জন বিখ্যাত ক্রীড়াবিদের পরিবারকে যে হেনস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। এতে ক্রীড়াজগতকে অপমান করা হয়েছে।
পাকিস্তানের হকি দলের হয়ে ১৯৭৬ ও ১৯৮৪ সালের অলিম্পিক্স খেলেছিলেন মনজুর। প্রথম বার ব্রোঞ্জ ও পরের পার সোনা জিতেছিল পাকিস্তান। ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী হকি দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি।