নোভাক জোকোভিচ। ছবি: টুইটার।
বয়স যে সত্যিই সংখ্যামাত্র, তা প্রতি দিন কোর্টে প্রমাণ করে চলেছেন নোভাক জোকোভিচ। ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে আমেরিকার বেন শেল্টনকে সরাসরি সেটে হারানোর পর নিজে মুখে তাঁর না বললেও হত। তবু বললেন জোকার। একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন অবসর নিয়ে এখন ভাবছেন না।
বিশ্বের দু’নম্বর খেলোয়াড় হিসাবে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে এসেছিলেন জোকোভিচ। সেমিফাইনালে উঠে আবার এক নম্বর জায়গা নিশ্চিত করেছেন। এ বার তাঁর লড়াই ২৪তম গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য। ফাইনালে প্রতিপক্ষ বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর রাশিয়ার ডানিল মেদভেদেভ। ৩৬ বছরের সার্ব তারকা আত্মবিশ্বাসী।
উইম্বলডন ফাইনালে কার্লোস আলকারাজ়ের কাছে হারের পর জোকারের মা-বাবা চেয়েছিলেন ছেলে অবসর নিক। তাঁরা বলেছিলেন, টেনিস খেলে যা যা পাওয়া সম্ভব নোভাক সব পেয়েছে। আর কত দিন কঠোর পরিশ্রম করবে? এ বার বিশ্রাম নেওয়া উচিত। কথা শোনেননি জোকোভিচ। ইউএস ওপেনের ফাইনালে ওঠার পরেও তিনি ‘অবাধ্য’, ‘একরোখা’। জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘আমার কথা অহঙ্কারীর মতো শোনাতে পারে। তবে আমি অবাক নই। এই পর্যন্ত আসতে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে, সেটা শুধু আমিই জানি। কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে জানি। এটাও জানি, আমার প্রাপ্য কী। নিজের উপর বিশ্বাস রয়েছে আমার। যখন যতটা দেওয়া প্রয়োজন তখন ততটাই দিতে পারি। টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে আমার সেই দক্ষতা রয়েছে।’’
জোকোভিচ এখনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় ছাড়া কিছু ভাবতে চান না। বয়স নিয়ে ভাবার সময় তাঁর নেই। তিনি বলেছেন, ‘‘বয়স একটা সংখ্যা ছাড়া কিছু নয়। এই মুহূর্তে এ ছাড়া আমার কিছু মনে হচ্ছে না। অবসর নেওয়ার কথা একে বারেই ভাবছি না। এখনও আমি শীর্ষ স্তরে রয়েছি। কেন টেনিস ছাড়ার কথা ভাবব? আগামী দিনে যদি তরুণ খেলোয়াড়েরা আমাকে গ্র্যান্ড স্ল্যামের লড়াই থেকে বার করে দিতে পারে, তখন ভাবব।’’
সেমিফাইনালে সরাসরি সেটে জিতেছেন জোকোভিচ। তার পর প্রতিপক্ষ শেল্টনকে অনুকরণ করে কাউকে ফোন করার ভঙ্গিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। আপনি কি আমেরিকার তরুণকে বিদ্রুপ করলেন? জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘শেল্টনের উৎসবে এই ধরনটা আমার দারুণ লাগে। ওর উদ্যাপনের মধ্যে একটা স্বাভাবিক উচ্ছ্বাস রয়েছে। তাই ওকে নকল করলাম। বলতে পারেন, শেল্টনের উদ্যাপনের ভঙ্গিটা চুরি করেছি।’’