নীরজ চোপড়া। —ফাইল চিত্র।
অলিম্পিক্সে ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত নীরজ চোপড়া। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ারের মতে, এর ফলে সারা বিশ্বে পরিচিত হবে ক্রিকেট। তার সুবাদে লাভবান হতে পারে ভারতও। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বজয়ী অ্যাথলিট।
কয়েক দিন আগেই শেষ হয়েছে এশিয়ান গেমস। ভারতের পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেট দল সোনা জিতেছে। পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা পেয়েছেন নীরজও। রুতুরাজ গায়কোয়াড়, রিঙ্কু সিংহদের সঙ্গেই হ্যাংঝাউয়ে পৌঁছে ছিলেন বিশ্বজয়ী অ্যাথলিট। হংকং বিমানবন্দরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাসি মুখে ছবিও তুলেছিলেন নীরজ। আর পাঁচ জন ভারতীয়ের মতো নীরজও ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহী। সময় পেলে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের খেলাও দেখেন। লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সে ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় তাই খুশি তিনি।
১৯০০ সালের পর আবার অলিম্পিক্সে ক্রিকেট খেলা হবে ২০২৮ সালে। নীরজ বলেছেন, ‘‘দারুণ খবর। ভারতীয় ক্রিকেট দল অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই অলিম্পিক্সে ক্রিকেট ভারতীয়দের জন্য আনন্দের ব্যাপার। ক্রিকেট যুক্ত হওয়ায় অলিম্পিক্স নিয়ে আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে। তরুণ প্রতিভারা অলিম্পিক্স পদক জয়ের স্বপ্ন দেখবে। ক্রিকেটে আমাদের দেশের পদক জয়ের সম্ভাবনা যথেষ্ট। আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য একটা ইতিবাচক দিক।’’
ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নীরজ আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের ভাল ক্রিকেট দল রয়েছে। তাই ক্রিকেট এবং খেলাধুলার জন্য এটা খুব ভাল খবর। অলিম্পিক্সে থাকায় গোটা পৃথিবীর কাছে পরিচিত হবে ক্রিকেট। অনেকে বলেন, ক্রিকেট শুধুমাত্র কয়েকটা দেশ খেলে। তাই এটা বড় সুযোগ। অলিম্পিক্সে ছাপ ফেলতে পারলে ক্রিকেটের জন্যও ভাল। ক্রীড়া জগতের জন্যও দারুণ একটা ব্যাপার হবে। বিভিন্ন দেশ ক্রিকেট খেলতে আগ্রহী হবে।’’
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত এক বারই ক্রিকেট হয়েছে। ১৯০০ সালের গেমসে অংশগ্রহণ করেছিল শুধু ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স। এ বারের আগে এশিয়ান গেমসেও ক্রিকেট হয়েছিল শুধু ২০০৭ সালে। তাই নীরজ মনে করেন লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সে ক্রিকেটের অন্তর্ভূক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।