মার্কেটা ভন্দ্রোসোভা। ছবি: রয়টার্স
টেনিস খেলতে ঠিক যতটা ভালবাসেন, মার্কেটা ভন্দ্রোসোভা ঠিক ততটাই ভালবাসেন নিজের পোষ্যকে। নিয়মের কড়াকড়ির কারণে উইম্বলডনে পোষ্য বিড়াল ফ্রেঙ্কিকে নিয়ে আসতে পারেননি। প্রাগে ভন্দ্রোসোভার বাড়িতেই রয়েছে সে। কিন্তু যত্ন এত টুকু কম হলে চলবে না। তাই স্বামী স্টেপানকে বাড়িতেই রেখে এসেছেন ভন্দ্রোসোভা। বিড়ালের যত্ন নেওয়ার চক্করে স্ত্রীর সেমিফাইনাল খেলাটাই দেখা হল না স্টেপানের।
উইম্বলডনের সেমিফাইনালে এলিনা সোয়াইতোলিনাকে হারানোর পর হাসতে হাসতে সে কথাই বললেন চেক প্রজাতন্ত্রের ভন্দ্রোসোভা। সেমিফাইনালে নামার আগেই তিনি অবশ্য এ কথা জানিয়েছিলেন। তখন বলেছিলেন, “মনে হয় না ও আসতে পারবে। দেখা যাক কী হয়। ওর অনেক কাজ রয়েছে। বাড়িতে আমাদের বিড়ালের দেখাশোনা করতে হবে। তাই ওকে বাড়িতেই থাকতে হবে।” ভন্দ্রোসোভার মুখে এ কথা শোনার পরেই হেসে ওঠেন উপস্থিত সাংবাদিকেরা।
বাড়িতে থাকলেও স্ত্রীকে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন স্টেপান। সেটাও সেমিফাইনালে নামার আগেই বলেছিলেন ভন্দ্রোসোভা। তাঁর কথায়, “ওয়েটিং রুমে একা একা অপেক্ষা করছিলাম। তখন স্টেপানের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ ফোনে কথা বলি। মনের মধ্যে একটু চিন্তা হচ্ছিল। সেটা ওর সঙ্গে কথা বলে শান্ত হয়।”
Cat sitting duties have prevented Marketa Vondrousova's husband from watching her run to the Wimbledon final. But not any more 🐈#Wimbledon pic.twitter.com/mu4L1qYyX7
— Wimbledon (@Wimbledon) July 14, 2023
তবে ফাইনালে স্বামীকে দর্শকাসনে দেখতে চান ভন্দ্রোসোভা। সোয়াইতোলিনাকে হারানোর পরে বলেছেন, “কাল (শুক্রবার) ও আসছে আমার বোনের সঙ্গে। বিড়াল দেখাশোনা করে এমন এক কর্মীকে আমি বলে দিয়েছি মাঝের এই সময়টায় সামলাতে। ওকে দর্শকাসনে দেখতে চাই।”
২০১৯-এ প্রথম বার গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠেছিলেন ভন্দ্রোসোভা। কিন্তু ফরাসি ওপেনের সেই ম্যাচে অ্যাশলে বার্টির কাছে হেরে যান। সেই অভিজ্ঞতাই শনিবার উইম্বলডনের ফাইনালে তাঁকে সাহায্য করবে বলে মনে করেন ভন্দ্রোসোভা। বলেছেন, “কঠিন মুহূর্ত কী ভাবে সামলাতে হয় সেটা জানি। আগেও এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। তখন আমার বয়সও অনেক কম ছিল। তাই চাপটা নিতে পারিনি। কিন্তু এ বার আমি অভিজ্ঞ। আশেপাশে ভাল মানুষের সান্নিধ্য রয়েছে। সেটা আমাকে সাহায্য করবে।”