আইপিএলের একই ম্যাচে একাধিক নজির গড়লেন সূর্যকুমার এবং রশিদ। ছবি: আইপিএল।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং গুজরাত টাইটান্স ম্যাচে ব্যাট হাতে দাপুটে ইনিংস খেলেছেন সূর্যকুমার যাদব এবং রশিদ খান। দু’দলের দুই ক্রিকেটার গড়েছেন একাধিক নজির। তাঁদের ইনিংসের সুবাদে রোহিত শর্মা এবং হার্দিক পাণ্ড্যর দলের লড়াই ছিল উত্তেজনায় পরিপূর্ণ।
সূর্যকুমারের ৪৯ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস ক্রিকেটপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছে। অন্য দিকে, দলের নিশ্চিত পরাজয় জেনেও আফগান অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই পৌঁছে দেন মুম্বই শিবিরে। তাঁর ৩২ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংসও একই রকম উপভোগ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে নজির গড়েছেন দুই ক্রিকেটারই।
সূর্যকুমার হলেন ২০১৪ সালের পর মুম্বইয়ের প্রথম ক্রিকেটার, যিনি আইপিএলে শতরান করলেন। শেষ শতরান ছিল পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে লেন্ডল সিমন্সের। পাশাপাশি ২০১১ সালের পর মুম্বইয়ের কোনও ব্যাটার নিজেদের ঘরের মাঠে শতরান করলেন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শেষ বার মুম্বইয়ের হয়ে শতরান করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর।
শুক্রবারের ইনিংসে ১০টি ছক্কা মারেন রশিদ। আইপিএলের ইতিহাসে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে কোনও ব্যাটারের সব থেকে বেশি ছয় মারার রেকর্ড অল্পের জন্য স্পর্শ করতে পারেননি তিনি। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রান তাড়া করার সময় ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন। এই ক্ষেত্রে রশিদ থাকলেন আরও দু’জনের সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে। ১০টি করে ছয় মারার নজির রয়েছে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এবং কায়রন পোলার্ডের।
গুজরাত টাইটান্সের কোনও ক্রিকেটার রশিদের আগে এক ইনিংসে ১০টি ছয় মারতে পারেননি। এ ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকছেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার। এর আগে পর্যন্ত শীর্ষে ছিলেন শুভমন গিল। এ বারের আইপিএলেই লখনউ সুপার জায়েন্টসের বিরুদ্ধে ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৭টি ছয় মেরেছিলেন শুভমন।