কলকাতার অধিনায়ক নীতীশ রানাকে নিয়ে ক্ষিপ্ত গাওস্কর। মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে আউট হন নীতীশ। ছবি: আইপিএল
বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে এ বারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচে জিতেছে কলকাতা। তবে উপরের দিকের ব্যাটারদের ব্যর্থতা বার বার ভোগাচ্ছে দলকে। বেঙ্গালুরু ম্যাচে রহমানুল্লাহ গুরবাজ় বাদে কোনও টপ অর্ডার ব্যাটারই খেলতে পারেননি। সেই দেখেই কলকাতার ক্রিকেটার মনদীপ সিংহের তীব্র সমালোচনা করেছেন সুনীল গাওস্কর। ছেড়ে কথা বলেননি অধিনায়ক নীতীশ রানাকেও।
কলকাতার হয়ে এ বার দুটি ম্যাচে খেলতে নেমে ২ রান করেছেন মনদীপ। প্রথম ম্যাচে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তিনি ২ রানে আউট হয়ে যান। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে তিনে নেমেছিলেন। কিন্তু কোনও রান করতে পারেননি। তাঁর প্রসঙ্গে গাওস্কর বলেছেন, “প্রতি বারই ও ঠিক কোনও না কোনও দল পেয়ে যায়। কিন্তু কোনও দলের হয়েই খেলতে পারে না।”
কলকাতার অধিনায়ক নীতীশ রানাকে নিয়েও ক্ষিপ্ত গাওস্কর। মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে আউট হন নীতীশ। সপ্তম ওভারের মাথায় রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আউট হয়ে যান। গাওস্করের কথায়, “কেকেআরের অধিনায়ক কী করে এত খারাপ শট মারতে পারল? ব্যাটে-বলে কোনও সংযোগই হয়নি। অধিনায়ক হিসাবে এ ধরনের শট এড়িয়ে গেলেই পারত। এই শট খেলার দরকারই ছিল না।”
উপরের দিকের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দলকে বাঁচান শার্দূল ঠাকুর। দলের বিপদের সময়ে একার হাতে কলকাতাকে টেনে তোলেন শার্দূল। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সাহায্যে ২৯ বলে ৬৮ রানের সাহায্যে কলকাতাকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন। তার পরে বল হাতে ২ ওভারে ১৫ রানে একটি উইকেট তুলে নেন। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার তাঁকে ছাড়া আর কাউকে দেওয়া সম্ভবও ছিল না।
শার্দূলের ইনিংসে রয়েছে ৯টি চার এবং ৩টি ছক্কা। তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন ৮৯ রানে পাঁচ উইকেট চলে গিয়েছে। চরম বিপদের মুখে দাঁড়িয়েছিল কলকাতা। সেখান থেকে দলকে উদ্ধারই করেননি, কলকাতার রান দুশো পার করিয়ে দিয়েছেন। সেই চাপ সামলাতে পারেনি আরসিবি।
বৃহস্পতিবার শার্দূল যখন ব্যাট করতে নামেন তখন অন্য দিকে ব্যাট করছিলেন রিঙ্কু সিংহ। তাঁর প্রথম বল ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারিতে যায়। কিন্তু তার পরে সব বল ব্যাটের মাঝে খেলেন শার্দূল। আরসিবি বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেন। তাতেই কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেল বিরাট কোহলিদের বোলিং আক্রমণ।
পেসার, স্পিনার কাউকে রেয়াত করেননি শার্দূল। মাঠের চারদিকে শট খেলেন। হাওয়ায় শট মারার পাশাপাশি মাটি ঘেঁষা ক্রিকেটীয় শটও খেলেন। মাত্র ২০ বলে নিজের অর্ধশতরান করে ফেলেন শার্দূল। এ বারের আইপিএলে এটি দ্রুততম অর্ধশতরান। শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানের ইনিংসে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। শার্দূলের ব্যাটে রোশনাই ছড়ায় ইডেনে।এই ইনিংস খেলে জোড়া নজিরও গড়েন শার্দূল। আইপিএলে ৭ নম্বর বা তার নীচে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় সর্বাধিক রান করলেন তিনি। তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন কলকাতারই আন্দ্রে রাসেল। ২০১৮ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৩৬ বলে অপরাজিত ৮৮ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন চেন্নাইয়ের ডোয়েন ব্র্যাভো। ২০১৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩০ বলে ৬৮ রান করেছিলেন ব্র্যাভো।