ঋষভ পন্থ। —ফাইল চিত্র।
২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ আবার ২২ গজের লড়াইয়ে ফিরছেন ঋষভ পন্থ। লাল বলের ক্রিকেটের পর টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগ। ১৫ মাস ক্রিকেট মাঠ থেকে দূরে ছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক। প্রত্যাবর্তনের আগে তিন অনুভূতি ২৬ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের।
শনিবার মোহালির নতুন স্টেডিয়ামে পঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হবে দিল্লি। এ বছরের আইপিএলে দিল্লিকে আবার নেতৃত্ব দেবেন পন্থ। দীর্ঘ দিন পর মাঠে ফেরার আগে কিছুটা চাপে তিনি। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন পন্থ। এত দিন পর মাঠে ফেরা প্রসঙ্গে পন্থ বলেছেন, ‘‘আমি কিছুটা চিন্তিত, কিছুটা উত্তেজিত এবং কিছুটা চাপেও রয়েছি। আবার পেশাদার ক্রিকেটে ফিরতে পেরে আমি খুশি। শনিবার প্রথম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় রয়েছি। মাঠে নামার জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না।’’
১৫ মাসের এই বিরতিই সম্ভবত পন্থের জীবনের কঠিনতম সময়। ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর পথ দুর্ঘটনার পর প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল তাঁর ক্রিকেট ভবিষ্যৎ। তিনি আদৌ আর খেলতে পারবেন কিনা, প্রাথমিক ভাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি চিকিৎসকেরাও। পন্থকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে চেষ্টার খামতি রাখেননি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা, চিকিৎসকেরা। কষ্ট সহ্য করে সমান তালে চেষ্টা করে গিয়েছেন পন্থ নিজেও। সব মিলিয়ে প্রত্যাশিত সময়ের কয়েক মাস আগেই ক্রিকেট মাঠে ফিরছেন রুরকির বাসিন্দা।
মাস খানেক আগেও উইকেট রক্ষা করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল পন্থের। মনে করা হচ্ছিল, আইপিএলে শুধু ব্যাটার হিসাবে দেখা যাবে তাঁকে। পন্থ দ্রুত উন্নতি করেছেন। বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) কঠোর পরিশ্রম করেছেন। পরে বিশাখাপত্তনমে দিল্লির প্রস্তুতি শিবিরেও উইকেটের পিছনে স্বচ্ছন্দ হওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রতি দিন।
প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘যত বার মাঠে নামি, তত বার আলাদা অনুভূতি হয়। যত বেশি ক্ষণ সম্ভব ব্যাট করার চেষ্টা করতাম। প্রতি দিন একটু একটু করে উন্নতির চেষ্টা করতাম। ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি ভাবতাম না। প্রতি দিন শুধু নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যতটা সম্ভব হয়েছে।’’
পন্থের আশা এ বারের আইপিএলে ভাল ফল করবে দিল্লি। অযথা চাপ নেওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। পঞ্জাব ম্যাচের জন্য কি বিশেষ কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? পন্থ বলেছেন, ‘‘আমাদের মধ্যে খুব সাধারণ কিছু কথা বার্তা হচ্ছে। আমরা মাঠে নেমে আনন্দের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে চাই। সব ম্যাচে নিজেদের ১০০ শতাংশ দেওয়াই লক্ষ্য আমাদের।’’
১৫ মাস পর মাঠে ফেরার আগে পন্থ নিজে কিছুটা চাপে থাকলেও সতীর্থদের চাপমুক্ত রাখতে চাইছেন। দলের অধিনায়ক হিসাবে তিনি চান, সকলে চাপ মুক্ত হয়ে পারফর্ম করুক।