মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। — ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২০ সালে। এখন শুধু আইপিএল খেলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। সারা বছর ক্রিকেটের মধ্যে না থাকলেও আইপিএলের জন্য নিজেকে ফিট রাখেন ধোনি। কী ভাবে নিজেকে তৈরি করেন ৪২ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার? নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে হয় আইপিএলে। তাই নিজেকে সে ভাবেই তৈরি করেন ধোনি। সারা বছর ক্রিকেটের মধ্যে থাকেন না বলে, কিছুটা বেশি পরিশ্রম করতে হয় আইপিএলের আগে। দুবাইয়ে একটি প্রচার অনুষ্ঠানে ধোনি বলেছেন, ‘‘সারা বছর ক্রিকেট খেলি না এখন। তাই নিজেকে ম্যাচ ফিট করা আমার জন্য একটু কঠিন। খেলার জন্য তো ফিট থাকতেই হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তরুণদের ফিটনেসের মাত্রা এখন খুব ভাল। তাদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন। পেশাদার খেলাধুলা এক দমই সহজ নয়। বয়স হয়েছে বলে আপনাকে কেউ কোনও ছাড় দেবে না। তাই খেলতে চাইলে অন্যদের মতো ফিট থাকতে হবে। বয়স কখনও পক্ষে থাকে না। তাই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হয়। ট্রেনিংয়ের ধরণ পরিবর্তন করতে হয়। সমাজমাধ্যমে অনেকে নানা পরামর্শ দেন। এ দিক থেকে আমি ভাগ্যবান। সমাজমাধ্যম ব্যবহার করি না। তাই আমার বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ কম।’’
বছরের অনেকটা সময় ধোনি ব্যয় করেন বাইক এবং গাড়ির দেখভালের কাজে। ভক্তদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে যতটা বেশি সম্ভব সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একই সঙ্গে মানসিক ভাবে সক্রিয় থাকা জরুরি। নিজের ভাল লাগার বিষয়গুলো নিয়েও লক্ষ্য থাকা উচিত। চাষের কাজ বা বাগান করতে ভাল লাগে। বাইকগুলোর দেখাশোনা করি। অবসরের পর পুরনো দিনের কিছু গাড়ি কিনেছি। এ গুলো আমার চাপ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক ভাবে ক্লান্ত লাগলে অনেক সময় গ্যারাজে চলে যাই। ঘণ্টা দুয়েক থাকি গাড়িগুলোর সঙ্গে। তার পর বাড়ি ফিরলে বেশ তরতাজা লাগে।’’
গাড়ির মতোই ধোনির প্রিয় গৃহপালিত প্রাণী। পছন্দ করেন বিড়াল, কুকুর। বিশেষ করে কুকুর তাঁর ভীষণ পছন্দ। বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘কুকুর আমার খুব ভাল লাগে। ওদের মধ্যে নিঃশর্ত ভালবাসা থাকে। আমি ম্যাচ হেরে বাড়ি ফিরলেও ওরা আমাকে একই রকম ভাবে স্বাগত জানায়।’’
ধোনির মতে ভাল পারফরম্যান্সের জন্য শারীরিক ফিটনেসের মতোই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক ভাবে তরতাজা থাকা। বাইক, পুরনো দিনের গাড়ি, কুকুর, বাগান, চাষের জমি তাঁকে সারা বছর তরতাজা রাখে। তাই শুধু আইপিএল খেললেও তাঁর শারীরিক ফিটনেস নিয়ে তেমন সমস্যা হয় না। কয়েকটা দিন একটু বেশি পরিশ্রম করলেই খেলার মতো জায়গায় পৌঁছে যান।