মহম্মদ সিরাজ। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলের পিচ নিয়ে বিরক্ত বোলারেরা। তাঁদের জন্য কিছু থাকছে না পিচে। ব্যাটারেরা সহজে রান তুলছেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পর পিচ নিয়ে সরব হলেন মহম্মদ সিরাজও। তাঁর বক্তব্য, এ বারের আইপিএলে লুকোনোর জায়গাও নেই বোলারদের জন্য।
গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে জয়ের পর মুখ খুলেছেন বিরক্ত সিরাজ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলার বলেছেন, ‘‘আইপিএলে ক্রিকেটের মান খুবই ভাল। প্রতি দুটো ম্যাচের একটায় বড় রান হচ্ছে। আইপিএলের ম্যাচগুলিতে এখন ২৫০-২৬০ রান হচ্ছে। আগে কিন্তু এ রকম হত না। খুব সম্প্রতিই আমরা দেখছি ২৫০-এর কাছাকাছি বা বেশি রান উঠতে। গত মরসুম থেকে বেশি হচ্ছে এ রকম রান। অত্যন্ত বেশি রান উঠছে। বোলারেরা পিচ থেকে কোনও সাহায্য পাচ্ছে না। বাউন্ডারি ছোট করে দেওয়া হয়েছে। পাটা পিচ তৈরি করা হচ্ছে। আগে নতুন বল কিছুটা সুইং করত। এখন সেটাও হয় না। অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। বোলারদের জন্য কিছুই হয়নি। বোলারেরা এখন মার খাওয়ার জন্যই মাঠে নামে।’’
সিরাজের মতে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে ওভারপ্রতি ১০ রান ওঠা সহজ হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের বোলারদের মানিয়ে নিতে হচ্ছে। বিশেষ করে আমাকে। জীবনে অনেক ওঠাপড়া দেখেছি। বোলার হিসাবে বিশ্বাস করি, কোনও ম্যাচে মার খেলেও পরের ম্যাচে ফিরে আসতে পারব। সব সময় সে ভাবেই চেষ্টা করেছি। কখনও হাল ছেড়ে দিই না। কিন্তু খেলাটা এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, ভাল বলেও চার হয়ে যাচ্ছে। আমার কোনও সমস্যা নেই। মনে করছি না, আইপিএলে আমি খারাপ বল করছি। ৪০ রান এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। কয়েক বছর আগে হলেও সবাই বলত, ‘ও পারছে না। ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়েছে।’ এখন কেউ কিছু বলে না।’’
এই পরিস্থিতিতে বোলারেরা আত্মবিশ্বাস ধরে রাখবেন কী ভাবে? সিরাজ বলেছেন, ‘‘নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে, আমরা খারাপ বোলার নই। একটা ম্যাচে ২৫০ রানের বেশি হলেও হতাশ হলে চলবে না। সব ম্যাচে এক জন খারাপ বল করতে পারে না। আর আমরা ভাল বোলার বলেই আইপিএল খেলছি। আমি শুধু অন্য বোলারদের শুভেচ্ছা জানাতে পারি।’’
আইপিএলের পিচ নিয়ে সমালোচনা কম হচ্ছে না। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশও হতাশ। ওয়াসিম আক্রম যেমন বলেছেন, ‘‘ভাগ্যিস এখন ক্রিকেট খেলি না। আইপিএল দেখে মনে হচ্ছে, ৫০ ওভারের ম্যাচে ৪৫০-৫০০ রান উঠে যাবে। ব্যাট-বলের লড়াই বলে কিছুই নেই।’’ আইপিএলের পিচ ক্রিকেটের আসল উত্তেজনা শেষ করে দিয়েছে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আইপিএলে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির হয়ে খেলা বোলারেরাও এ বার মুখ খুলতে শুরু করেছেন।