হায়দরাবাদ-মুম্বই ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি: আইপিএল
মঙ্গলবার দেখা গিয়েছে এক অন্য আইপিএল ম্যাচ। হায়দরাবাদ বনাম মুম্বইয়ের সেই ম্যাচের রানের বন্যা যেমন হয়েছে, তেমনই একাধিক নজির তৈরি হয়েছে। গোটা ম্যাচেই তৈরি হয়েছে অসংখ্য নজির। হায়দরাবাদ ম্যাচটি জিতেছে ৩১ রানে। মুম্বই হারলেও তাদের নজিরের সংখ্যাও কম নেই।
একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান
হায়দরাবাদের ২৭৭ রানের জবাবে মুম্বই তোলে ২৪৬। সব মিলিয়ে ওঠে ৫২৩ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুই ইনিংস মিলিয়ে এটাই সবচেয়ে বেশি রান। আইপিএলেও তাই।
একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বাধিক ছয়
নিজেদের ইনিংসে ১৮টি ছয় মারে হায়দরাবাদ। রান তাড়া করতে না পারলেও ছয়ের সংখ্যায় ছাপিয়ে যায় মুম্বই। তারা ২০টি ছয় মেরেছে। একটি ম্যাচে হয়েছে ৩৮টি ছয়, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এবং আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক।
আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলগত রান
২০ ওভারে হায়দরাবাদের তোলা ২৭৭ রান আইপিএলের সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ড ছিল বেঙ্গালুরুর। ২০১৩-তে অধুনালুপ্ত পুণে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ২৬৩ তুলেছিল তারা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ রান।
পাওয়ার প্লে-তে হায়দরাবাদের সর্বোচ্চ রান
প্রথম ছয় ওভারে হায়দরাবাদ ৮১ রান তুলেছিল। পাওয়ার প্লে-তে এটাই তাদের সর্বোচ্চ রান। অতীতে কলকাতার বিরুদ্ধে ৭৯ রান তুলেছিল তারা।
হায়দরাবাদের ইতিহাসে দ্রুততম অর্ধশতরান
১৬ বলে পঞ্চাশ করে নজর কাড়লেন তরুণ অভিষেক শর্মা। আইপিএলের ইতিহাসে হায়দরাবাদের কোনও ব্যাটারের এটাই দ্রুততম শতরান। ঠিক কিছু ক্ষণ আগেই ট্রেভিস হেড ১৮ বলে শতরান করে নজির তৈরি করেছিলেন। তা টিকল মাত্র কয়েক মিনিট।
ইনিংসের মাঝে সর্বোচ্চ রান
প্রথম ১০ ওভারে ১৪৮ তুলেছিল হায়দরাবাদ। আইপিএলে প্রথম ১০ ওভারে এটাই সর্বোচ্চ রান। এর আগে মুম্বই ১০ ওভারে ১৩১ তুলেছিল। সেটা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেই।
অভিষেক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান
মুম্বইয়ের হয়ে মঙ্গলবারই প্রথম খেলতে নেমেছিলেন কোয়েনা মাফাকা। তিনি চার ওভারে ৬৬ রান দেন। আইপিএলের ইতিহাসে অভিষেক ম্যাচে এত বেশি রান আর কোনও বোলার দেননি। আগের রেকর্ড ছিল পঞ্জাবের মাইকেল নেসেরের (৬২)।