IPL 2024 Winner

কেক মাখানোর লড়াই, ট্রফি নিয়ে নাচ, শ্যাম্পেনে স্নান, সাজঘর থেকে হোটেলে ফিরেও উল্লাস শ্রেয়সদের

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে হোটেলে ফিরে উল্লাসে মাতলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটারেরা। কেক কাটলেন তাঁরা। চলল শ্যাম্পেনে স্নান।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ০৭:৪৮
cricket

হোটেলে উল্লাস করছেন শ্রেয়স আয়ারেরা। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।

মাঠের উল্লাস সাজঘর হয়ে গড়াল হোটেলে। আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে প্রথমে সাজঘরে ও তার পর হোটেলে ফিরে উল্লাসে মাতলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটারেরা। কেক কাটলেন তাঁরা। চলল শ্যাম্পেনে স্নান।

Advertisement

চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য চেন্নাইয়ের হোটেলে রাখা হয়েছিল একটি বিশাল কেক। ট্রফি নিয়ে হোটেলে ঢোকেন শ্রেয়স আয়ার। তিনি প্রথমেই কেকের পাশে গিয়ে ট্রফি রেখে দেন। ক্রিকেটারদের গায়ে ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা জার্সি। চার দিকে ভিড় করে দাঁড়িয়েছিলেন ছবিশিকারিরা।

শ্রেয়স, সুনীল নারাইনেরা কেক কাটেন। তার পরে কেক মাখানোর লড়াই শুরু হয়। আপাত শান্ত নারাইনকেও দেখা যায় কারও পিছনে ছুটছেন কেক মাখাতে। শ্রেয়স ট্রফি নিয়ে নাচছিলেন। চার দিকে ‘কেকেআর, কেকেআর’ চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।

তার পরেই দেখা গেল সবাইকে শ্যাম্পেনে স্নান করিয়ে দিচ্ছেন শ্রেয়স। উল্লাস থামছিল না। দলের সব ক্রিকেটার তাতে যোগ দিয়েছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল, ১০ বছরের খরা কাটানোর আনন্দে একটু হলেও খামতি দিতে চাইছেন না শ্রেয়সেরা। চেটেপুটে সব আনন্দ উপভোগ করে নিতে চাইছেন তাঁরা।

উল্লাসের শুরুটা হয় মাঠে। বেঙ্কটেশ আয়ারের ব্যাটে লেগে বল উইকেটরক্ষকের পিছনে চলে যেতেই উচ্ছ্বাস শুরু হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। মাঠের মাঝে বেঙ্কটেশকে জড়িয়ে ধরেন শ্রেয়স। মাঠে ছুটতে ছুটতে ঢুকে পড়েন রিঙ্কু সিংহ, হর্ষিত রানারা। একে অপরের ঘাড়ে উঠে পড়েন তাঁরা। উচ্ছ্বাসের তোড়ে ভেসে যান সাপোর্ট স্টাফেরাও। মাঠে সপরিবার নেমে পড়েন শাহরুখ খানও।

মাঠের এক দিকে রাখা ছিল আইপিএল ট্রফি। তাতে খোদাই করা হচ্ছিল কেকেআরের নাম। ট্রফি পাওয়ার জন্য তর সইছিল না শ্রেয়সদের। চারপাশে দাঁড়িয়ে কাছ থেকে ট্রফি দেখেন তাঁরা। আর একটু হলে তুলেই ফেলছিলেন। শ্রেয়সদের উচ্ছ্বাস বুঝিয়ে দিচ্ছিল, এই ট্রফি জেতার গুরুত্ব তাঁদের কাছে কতটা।

চলতি আইপিএলে প্রতিটি ম্যাচের পরে গৌতম গম্ভীরের নাম করেছেন ক্রিকেটারেরা। দলের সাফল্যে তাঁর কতটা অবদান সেটা জানান তাঁরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও সেটা দেখা গেল। গম্ভীরকে জড়িয়ে ধরে কোলে তুলে নেন নারাইন। কেকেআরের প্রতিটি ম্যাচের পরে মাঠ প্রদর্শন করেন। এই ম্যাচেও করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী গৌরি খান, ছেলে আরিয়ান ও আব্রাম, মেয়ে সুহানা। অনন্যা পাণ্ডে, শানায়া কপূর, শাহরুখের ম্যানেজার পুজা দাদলানিও ছিলেন সঙ্গে। মাঠ প্রদর্শন করার আগে কেকেআর ক্রিকেটারদের কাছে যান শাহরুখ। সবার সঙ্গে কথা বলেন। জড়িয়ে ধরেন। গম্ভীরের কপালে চুমু খান শাহরুখ। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন শাহরুখ। সবার সঙ্গে কথা বলেন। শাহরুখকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন তাঁরা। তার পরে মাঠ ঘুরে দর্শকদের ধন্যবাদ দেন শাহরুখ। চেন্নাই ফাইনালে না থাকলেও মাঠ ভর্তি ছিল। খেলা শেষে শাহরুখকে দেখতে থেকে গিয়েছিলেন দর্শকেরা। তাঁরাও বাদশাকে দেখে হাততালি দেন।

ট্রফি জেতার পরে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে উল্লাস হয় সাজঘরে। রিঙ্কু, বেঙ্কটেশদের দেখা যায় দেদার নিজস্বী তুলতে। মাঠকর্মীদেরও চ্যাম্পিয়ন লেখা টি-শার্ট দেন তাঁরা। সাজঘরে ছিলেন শাহরুখ, জুহি চাওলারা। গম্ভীরকেও দেখা যায় সপরিবার ট্রফি হাতে ছবি তুলতে। তখন কিন্তু মুখে হাসি ছিল গম্ভীরের। সাজঘরে বাজছিল পঞ্জাবি গান। রাত ২টো নাগাদ সাজঘর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠে দল। একেবারে সামনে ট্রফি রাখা হয়। নাচতে নাচতে হোটেলে ফেরেন তাঁরা।

আরও পড়ুন
Advertisement