যশপ্রীত বুমরা। ছবি: আইপিএল।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়ের ২২ গজে দেখা গিয়েছে সেরা ফর্মের যশপ্রীত বুমরাকে। বৃহস্পতিবারের ম্যাচে ২১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে বুমরা প্রথম বোলার হিসাবে আরসিবির বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়েছেন। চতুর্থ ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে একাধিক বার ৫ উইকেট নেওয়ার নজিরও গড়েছেন। দলের জয়ে অবদান রাখার পর বুমরা জানিয়েছেন তাঁর সাফল্যের রহস্য।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচের পর বুমরা বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বোলারদের জন্য খুবই কঠিন। কখনও চাইনি বোলার হিসাবে আমার কাছে একটাই অস্ত্র থাকবে। ক্রিকেটজীবনের প্রথম থেকে বলের বৈচিত্র বৃদ্ধির জন্য পরিশ্রম করেছি। সবাই চেষ্টা করে সঠিক লাইনে বল করার। আমি সেটার পাশাপাশি, অন্য দক্ষতা তৈরির উপর গুরুত্ব দিতাম। বল করা সব সময়ই কঠিন। ব্যাটারেরা মারার চেষ্টা করবেই। আমার পারফরম্যান্স ভাল না হলে পরের দিন ভিডিয়ো দেখি। বোঝার চেষ্টা করি কেন সাফল্য পাইনি। কেমন বল করলে কার্যকর হত। তরুণ বয়স থেকেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি।’’
সাফল্যের জন্য বিশেষ কোনও প্রস্তুতি নেন? বুমরা বলেছেন, ‘‘প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক ম্যাচের আগে নিজেকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করি। এটা জরুরি। হাতে একটা মাত্র অস্ত্র থাকলে হয় না। সব সময় তো আর ইয়র্কার বল করা যায় না। কখনও কখনও খাটো লেংথের বলও করতে হয়। এই ধরনের ক্রিকেটে সব সময় একই রকম ভাবার কোনও জায়গা নেই। ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল যেমন করতে হয়, তেমনই মন্থর গতির বলও করতে হয়। বলের বৈচিত্র খুব গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।’’
বুমরার বক্তব্য, ২০ ওভারের ক্রিকেটে ব্যাটাররা আগ্রাসী হবেই। পাল্টা আগ্রাসী হয়ে লাভ না-ও হতে পারে। পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটারের শক্তি-দুর্বলতা বুঝে বল করা দরকার। এক জন বোলারের বৈচিত্র যত বেশি, তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। বেগনি টুপির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা জোরে বোলার। ওভার প্রতি খরচ করেছেন ৫.৯৫ রান।