প্রথম ম্যাচে দলের বড় হারে হতাশ সৌরভ। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলের শুরুটা প্রত্যাশিত ছন্দে করতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ৫০ রানে হারতে হয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের দলকে। কেন এমন হল প্রথম ম্যাচেই? কারণ খুঁজে পেয়েছেন দিল্লির কোচ রিকি পন্টিং।
প্রথম ম্যাচে হারের কারণ হিসাবে পন্টিং দায়ী করেছেন দলের দুর্বল বোলিং এবং খারাপ ফিল্ডিংকে। এমন পারফরম্যান্স করলে ভাল কিছু আশা করা যাবে না বলেও মেনে নিয়েছেন দিল্লির কোচ। শনিবার খেলার পর পন্টিং বলেছেন, ‘‘মেনে নিতে অসুবিধা নেই প্রতিপক্ষ দল যে রান তুলতে পারত, তার থেকে অনেক বেশি রান তুলেছে। ফিল্ডিং আমাদের কোনও সাহায্যই করেনি। প্রথম চার ওভারের পর আমাদের ফিল্ডিং বেশ খারাপ হয়েছে।’’
দলের হারের অন্যতম কারণ হিসাবে ক্যাচ ধরতে না পারার কথা উল্লেখ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি বলেছেন, ‘‘খারাপ ফিল্ডিংয়ের জন্য আমরা কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করেছি। কাইল মায়ার্সের ক্যাচ ফেলার মূল্য চোকাতে হয়েছে আমাদের। ও কিন্তু সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।’’ উল্লেখ্য, মায়ার্স শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন। মারেন ২টি চার এবং ৭টি ছক্কা। ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় প্রতিপক্ষকে আউট করার সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি।
পন্টিং আরও বলেছেন, ‘‘আমরা ক্যাচ ফেলার পর মায়ার্স আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করে। বিশেষ করে আমাদের স্পিনারদের বেছে নিয়েছিল। ওর এই ইনিংস আমাদের কাছে একটা শিক্ষা। আমাদের ফিল্ডিং আরও ধারালো করতে হবে। এই ধরনের ভুল বার বার করলে হবে না। সুযোগ নষ্টের মূল্য বার বার চোকানো সম্ভব নয়।’’
পন্টিংয়ের মতে, লখনউয়ের উইকেটে ১৯০ বা তার বেশি রান তোলা সহজ ছিল না। অথচ লোকেশ রাহুলের দল সেটাই করেছেন। এ জন্য প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের কৃতিত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দুষেছেন নিজের দলের খারাপ পারফরম্যান্সকে। দলের বোলিং নিয়েও খুশি নন পন্টিং। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে ১৬টা ছক্কা হয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় আমরা কেমন বল করেছি। ১৬টা ছক্কাই প্রমাণ করে, আমাদের বোলিং প্রত্যাশিত মানের হয়নি। এমন বোলিং হলে নিজেদের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়। আমার মতে, ওরা শুধু পাঁচটা দুর্দান্ত চার মেরেছিল।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘১৯০ রান তোলার মতো উইকেটে ছিল না। মাঠে প্রচুর শিশির ছিল। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা তুলনায় সহজ ছিল। কী কী কারণে আমাদের হারতে হয়েছে, সেগুলি বিশ্লেষণ করতে হবে আমাদের।’’
লখনউয়ের বোলার মার্ক উডেরও প্রশংসা করেছেন দিল্লির কোচ। শনিবারের ম্যাচে উড ১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। পন্টিংয়ের বক্তব্য, ‘‘উড বিশ্বমানের ক্রিকেটার। নিজের কাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। ও কেমন বোলার সেটা আমাদের জানা ছিল। তা-ও পারিনি। প্রতিযোগিতা যত এগোবে, উড তত বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।’’