ম্যাচের পরে ড্রেসিংরুমে দলের বৈঠকে এই তরুণ ক্রিকেটারের প্রশংসা করেন কোচ অনিল কুম্বলে। পঞ্জাবের বোলিং আক্রমণ সামলানোর দায়িত্বে আছেন কাগিসো রাবাডা, রাহুল চাহাররা।
টক্কর: লকির গতির সঙ্গে লড়াই লিয়ামের ব্যাটের। ফাইল চিত্র
শুক্রবার আইপিএলে গুজরাত টাইটান্স বনাম পঞ্জাব কিংসের ম্যাচে একটা বিশেষ দ্বৈরথে নজর থাকবে সবার। লকি ফার্গুসন বনাম লিয়াম লিভিংস্টোন।
এক জন এ বারের আইপিএলের অন্যতম দ্রুতগতির বোলার। অন্য জন, বিধ্বংসী ব্যাটার। এবং, দু’জনেই ভাল ছন্দে আছেন। আগের ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন গুজরাতের ফাস্ট বোলার ফার্গুসন। আবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দু’টো উইকেট পেয়ে একই পুরস্কার পেয়েছিলেন পঞ্জাবের লিভিংস্টোন। এক জনের অস্ত্র যদি হয় ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতির উপরে ডেলিভারি, তা হলে অন্য জনের অস্ত্র হল দুরন্ত সব শক্তিশালী শট। এই দু’জনের লড়াই কিন্তু ঠিক করে দিতে ম্যাচের ভাগ্য।
তবে গুজরাতের সমস্যা হতে পারে তাদের ব্যাটিং। শুরুতে শুভমন গিল এবং কিছুটা হার্দিক পাণ্ড্য ও রাহুল তেওটিয়া বাদে সে রকম ছন্দে কেউ নেই। ম্যাথু ওয়েড দু’টো ম্যাচে ওপেন করে রান পাননি। ডেভিড মিলারের ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তাই গুজরাত স্কোবোর্ডে কতটা রান তুলতে পারল, তা অনেকটা নির্ভর করবে শুভমনের উপরে।
অন্য দিকে, পঞ্জাব কিংসের বিস্ফোরক ব্যাটিং যে কোনও বোলিং আক্রমণকে চাপে ফেলার ক্ষমতা রাখে। শুরুতে মায়াঙ্ক আগরওয়াল বা শিখর ধওয়ন এখনও চেনা ছন্দে ফিরতে পারেননি। কিন্তু মাঝের সারিতে ভানুকা রাজপক্ষ, লিভিংস্টোনরা বিধ্বংসী ফর্মে আছেন। পরের দিকে ইনিংস শেষ করার দায়িত্বে থাকবেন শাহরুখ খান এবং ওডিয়েন স্মিথ। চেন্নাই ম্যাচে নজর কেড়েছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার জিতেশ শর্মাও। ম্যাচের পরে ড্রেসিংরুমে দলের বৈঠকে এই তরুণ ক্রিকেটারের প্রশংসা করেন কোচ অনিল কুম্বলে। পঞ্জাবের বোলিং আক্রমণ সামলানোর দায়িত্বে আছেন কাগিসো রাবাডা, রাহুল চাহাররা।
গুজরাতের আসল শক্তি তাদের বোলিং। পেস আক্রমণ সামলানোর দায়িত্বে আছেন মহম্মদ শামি, ফার্গুসন এবং হার্দিক নিজে। শামি এবং ফার্গুসন ইতিমধ্যেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। হার্দিকও ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করছেন। এর সঙ্গে আছেন স্পিনার রশিদ খানও।
তবে শুক্রবারের ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দিতে পারে একটা দ্বৈরথই। লকি ফার্গুসন বনাম লিয়াম লিভিংস্টোনের লড়াই।