প্রতি বারই আইপিএল থেকে উঠে আসে একাধিক নতুন প্রতিভা। এই আইপিএলও তার ব্যতিক্রম নয়। মরসুমের অর্ধেকও পেরোয়নি। এর মধ্যেই অনেক তরুণ ক্রিকেটার নিজেদের জাত চেনাতে শুরু করেছেন।
সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন বাংলার জোরে বোলার আকাশ দীপ, তেমনই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তিলক বর্মাও রয়েছেন। নিলামের আগে এঁদের নামই শোনা যায়নি। কিন্তু তাঁরাই আইপিএলের মতো বড় মঞ্চে দলকে এনে দিচ্ছেন সাফল্য।
প্রতিভা তুলে আনার ব্যাপারে খ্যাতি রয়েছে মুম্বইয়ের। যশপ্রীত বুমরা, ঈশান কিশন, হার্দিক পাণ্ড্যর মতো ক্রিকেটারদের তুলে এনেছে তাঁরা। সেই তালিকায় এ বার হয়তো যোগ হতে চলেছেন তিলক বর্মাও।
মুম্বই এই মরসুমে তিনটি ম্যাচেই হেরেছে। কিন্তু মাঝের সারিতে ব্যাটিং করতে নেমে তিলক নজর কেড়ে নিয়েছেন। শেষ ম্যাচে কলকাতার বিরুদ্ধেও ভাল ব্যাটিং করেছেন। ৩ ম্যাচে তাঁর রান ১২১।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে লখনউয়ের আয়ুষ বাদোনি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও এর আগে তাঁর নাম সে ভাবে শোনা যায়নি। কিন্তু আইপিএলে এসেই তিনি মাতিয়ে দিচ্ছেন।
প্রথম ম্যাচেই অর্ধশতরান করেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জেতাতে ভূমিকা নেন। এখনও পর্যন্ত তিন ম্যাচে ৯২ রান করেছেন।
বাংলার আকাশ দীপও দুর্দান্ত বোলিং করছেন। ইতি মধ্যেই অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি এবং বিরাট কোহলীর আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন তিনি।
গত মরসুমে নিয়মিত দলে সুযোগ না পেলেও এ বার এখনও পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর হয়ে প্রতিটি ম্যাচেই ভাল খেলেছেন তিনি। কলকাতার বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে। তিন ম্যাচে এখনও পর্যন্ত চার উইকেট নিয়েছেন তিনি।
দিল্লির ললিত যাদবও নজর কেড়েছেন। প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে দলকে জিতিয়েছেন। দিল্লির হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন তিনি।
বড় শট মারায় তাঁর জুড়ি নেই। দু’ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ৭৩ রান করেছেন। তবে স্ট্রাইক রেটে আরও উন্নত করতে হবে তাঁকে।
নিলামে গুজরাত টাইটান্স তাঁকে ২.৬ কোটি টাকা কেনার পর অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছিল। কিন্তু প্রতি ম্যাচেই নিজের জাত চেনাচ্ছেন অভিনব মনোহর।
রানের বিচারে খুব বড় কিছু না করলেও অসাধারণ ফিল্ডিং করতে পারেন। শেষ দিকে নেমে বড় বড় ছক্কা মারতেও তিনি ওস্তাদ। প্রথম থেকেই ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার রসদ রয়েছে তাঁর।