মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নেতৃত্বে ফেরার পরে প্রথম ম্যাচেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারাল চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথমে ব্যাট হাতে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ের দাপটে ২০২ রান করে চেন্নাই। পরে সেই রানের মধ্যে কেন উইলিয়ামসনদের আটকে রাখলেন চেন্নাইয়ের বোলাররা।
নেতৃত্বে ফিরেই সফল ধোনি ছবি: আইপিএল
প্রথম ম্যাচেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি দেখিয়ে দিলেন কেন আইপিএলের অন্যতম সফল অধিনায়ক তিনি। ধোনি নেতৃত্বে ফেরার পরে প্রথম ম্যাচেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারাল চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথমে ব্যাট হাতে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ের দাপটে ২০২ রান করে চেন্নাই। পরে সেই রানের মধ্যে কেন উইলিয়ামসনদের আটকে রাখলেন চেন্নাইয়ের বোলাররা। ৪ উইকেট নিলেন মুকেশ চৌধরী। ১৩ রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকল সিএসকে।
দলের ব্যাটিং মজবুত করতে কনওয়েকে দলে ফেরায় চেন্নাই। গায়কোয়াড়ের সঙ্গে রবিন উথাপ্পার বদলে ওপেন করতে নামেন তিনি। হায়দরাবাদের বোলিং এ বারের আইপিএলের অন্যতম সেরা। সেই বোলিংয়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত শুরু করেন গায়কোয়াড়। বিশেষ করে এ বারের আইপিএলের অন্যতম সেরা বোলার উমরান মালিককে বেধড়ক মারেন তিনি। প্রথমে কিছুটা ধীরে খেললেও এক বার হাত সেট হয়ে যাওয়ার পরে ছন্দে ফেরেন কনওয়ে। তিনিও বড় শট খেলা শুরু করেন। দু’জনেই অর্ধশতরান করেন। কোনও বোলারই তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না। দিশাহারা দেখাচ্ছিল তাঁদের।
প্রতি ওভারে চার-ছক্কা মারছিলেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার। কিন্তু শতরানের আগে ছন্দপতন। ৯৯ রানের মাথায় আউট হন গায়কোয়াড়। তিনি আউট হতেই তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ধোনি। চেন্নাইয়ের হয়ে সাধারণত ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু অধিনায়কত্বে ফিরে ব্যাটিং অর্ডারেও ধোনির জায়গা বদল হল। ২০১১ সালের পরে ফের এক বার তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন তিনি। কিন্তু ৮ রান করে আউট হয়ে যান ধোনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২০২ রান করে চেন্নাই। কনওয়ে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও কেন উইলিয়ামসন। পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান করছিলেন তাঁরা। কিন্তু বোলারদের ক্রমাগত বদল করে দলকে ম্যাচে ফেরালেন ধোনি। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে পর পর দু’বলে অভিষেক ও রাহুল ত্রিপাঠিকে আউট করলেন মুকেশ চৌধরী। সেখান থেকেই ম্যাচে ফিরল সিএসকে।
ধোনি নেতৃত্বে ফেরার পরে বল হাতে বদলে গেলেন রবীন্দ্র জাডেজাও। ভাল বল করলেন তিনি। উইলিয়ামসন ৪৭ রানে আউট হওয়ার পরে আরও চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব গিয়ে পড়ে নিকোলাস পুরানের উপর। তিনি বেশ কয়েকটি বড় শট খেলেন। কিন্তু তাতেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। শেষ হাসি হাসেন ধোনিই।