আইপিএলে রিঙ্কু, শামিদের দাপট। —ফাইল চিত্র
আইপিএলে সব থেকে বেশি রান করার দৌড়ে বিদেশিদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। প্রথম ১০ জনের মধ্যে ছ’জনই বিদেশি। বোলারদের তালিকাতেও ভারতীয়দের প্রাধান্য বেশি। রশিদ খান ছাড়া আর কোনও বিদেশি নেই কমলা টুপির তালিকায়। ভারতীয়দের এমন দাপটের কারণ কী?
ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ফ্যাফ ডুপ্লেসি। ইতিমধ্যেই ৫৭৬ রান করে ফেলেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক। দ্বিতীয় স্থানে যশস্বী জয়সওয়াল। তিনি করেছেন ৪৭৭ রান। তৃতীয় স্থানে শুভমন গিল (৪৬৯ রান)। প্রথম দশে ডুপ্লেসি ছাড়া বিদেশিদের মধ্যে রয়েছেন ডেভন কনওয়ে (৪৬৮), জস বাটলার (৩৯২) এবং কাইল মেয়ার্স (৩৫৯)। যশস্বী এবং শুভমন ছাড়া ভারতীয়দের মধ্যে রয়েছেন বিরাট কোহলি (৪২০), রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৪০৮), সূর্যকুমার যাদব (৩৭৬) এবং শিখর ধাওয়ান (৩৪৯)।
কমলা টুপির লড়াইয়ে শুধুই ভারতীয়রা। ১৯ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। তিনি ছাড়া প্রথম দশে শুধুই ভারতীয়রা। শীর্ষে মহম্মদ শামি। তিনিও ১৯টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁরা দু’জনেই গুজরাত টাইটান্স দলে রয়েছেন। তিন নম্বরে রয়েছেন তুষার দেশপাণ্ডে। তিনিও ১৯টি উইকেট নিয়েছেন। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন তুষার। পীযূষ চাওলা, বরুণ চক্রবর্তী এবং যুজবেন্দ্র চহাল ১৭টি করে উইকেট নিয়েছেন। রবীন্দ্র জাডেজা এবং আরশদীপ সিংহ নিয়েছেন ১৬টি করে উইকেট। নবম স্থানে থাকা মহম্মদ সিরাজ নিয়েছেন ১৫টি উইকেট। ১৪টি উইকেট নিয়েছে দশ নম্বরে থাকা রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ভারতীয়দের এই দাপটের পিছনে তিনটি কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সাবা করিম মনে করছেন আইপিএল ভারতে ফিরে আসাই কারণ। এর আগের কয়েক বছর করোনার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল হয়েছিল। আনন্দবাজার অনলাইনকে সাবা করিম বললেন, “দেশের বিভিন্ন মাঠে খেলা হওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের সুবিধা হচ্ছে। এই পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত তারা। বিদেশিদের থেকে তাই ভারতীয় ক্রিকেটাররা এগিয়ে রয়েছেন।”
বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী আবার ঘরোয়া ক্রিকেটের কথা বলছেন। সৌরাশিস বললেন, “ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট সব থেকে বেশি শক্তিশালী। যে ক্রিকেটাররা আইপিএলে ভাল খেলছে যেমন যশস্বী, তুষার, রুতুরাজ, রিঙ্কু, এরা সকলেই ঘরোয়া ক্রিকেটেও ছন্দে ছিল। সেটাই ধরে রেখেছে ওরা।”
সাবা করিমের মতে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের কারণেও সুবিধা পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তিনি বললেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আসায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এক জন ভারতীয় বোলার বা ব্যাটার বেশি খেলছে। এর ফলে সেই ক্রিকেটার অনেক বেশি মনোযোগ দিয়ে শুধু নিজের কাজটাই করছে। কিছু ক্ষেত্রে সেটা অবশ্যই সুবিধার।”
আইপিএলে কমলা এবং বেগনি টুপির লড়াইয়ে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে ভারতীয় দলে নিয়মিত খেলা রোহিত, বিরাট, সিরাজ, শামি, শুভমনরা যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন তুষার, যশস্বীরাও। ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলেও আগামী দিনে এই মিশেল দেখা গেলে অবাক হওয়ার থাকবে না।