১৭ ফেব্রুয়ারি চেতন পদত্যাগ করেছিলেন। —ফাইল চিত্র
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকের পদ থেকে সরে যাওয়ার ৯১ দিন পর প্রকাশ্যে চেতন শর্মা। জানালেন তাঁর জীবন কঠিন হয়ে গিয়েছে। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার এক সংবাদমাধ্যমের ‘স্টিং অপারেশন’-এ জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তার পরেই পদত্যাগ করেন চেতন। ৯১ দিন পর তিনি একটি টুইট করলেন। চেতনের বক্তব্য দেখে প্রশ্ন উঠছে, বিরাট কোহলি, রোহিতদের প্রাক্তন নির্বাচক কি মানসিক অবসাদে ভুগছেন?
১৭ ফেব্রুয়ারি চেতন পদত্যাগ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার টুইট করে তিনি লেখেন, “জীবন খুব কঠিন হয়ে গিয়েছে। কাছের বা প্রিয় মানুষদের থেকে কোনও আশা দেখতে পাচ্ছি না। আশা করি ঈশ্বরকে পাশে পাব।” জীবন সম্পর্কে এতটা নিরাশ কী করে হলেন চেতন, তা নিয়ে কিছু বলেননি। ‘স্টিং অপারেশন’-এ ভারতীয় ক্রিকেটারদের সম্পর্কে একের পর এক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই পদত্যাগ করেছিলেন। কী কারণে পদত্যাগ, সেই বিষয় যদিও কেউ কিছু বলেননি। মনে করা হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহলের খবর ফাঁস করে দেওয়ার জন্যই সরে যেতে হয়েছে চেতনকে।
টিভি চ্যানেলের ‘স্টিং অপারেশন’-এ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিরাট কোহলির মধ্যে ইগোর লড়াই, যশপ্রীত বুমরার বিরুদ্ধে ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন নিয়ে জোর করে খেলা— ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন চেতন। এর পর বোর্ড তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বোর্ড কিছু ঘোষণা করার আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন চেতন।
Life has been very tough so far. No hope from your near & dear. Hope Mata Rani bless me.....
— Chetan Sharma (@chetans1987) May 17, 2023
কয়েক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার প্রধান নির্বাচকের পদ যায় চেতনের। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার পর চেতন-সহ গোটা নির্বাচক কমিটিকেই ছেঁটে ফেলেছিল বোর্ড। তার পর নির্বাচক চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল বোর্ডের ওয়েবসাইটে। সেখানে আবেদন করেন চেতন। আশ্চর্যজনক ভাবে তাঁকে নেওয়াও হয়। আরও এক বার নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। বোর্ডের সেই পদক্ষেপ অবাক করেছিল অনেককেই। নতুন করে নির্বাচক প্রধান হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই বিতর্কে জড়িয়ে পদ যায় চেতনের।
এই বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম বার প্রকাশ্যে আসে গোপন ক্যামেরায় চেতনের মুখ খোলার ভিডিয়ো। তৎকালীন প্রধান নির্বাচক চেতনকে স্টিং অপারেশনের ওই ভিডিয়োয় বলতে শোনা যায়, “সৌরভ এবং বিরাটের মধ্যে একটা ইগোর লড়াই ছিল। সৌরভ এক সময় ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিরাট সেই সময় নেতা ছিলেন। কে বড়, তা নিয়ে একটা লড়াই ছিল।”