কলকাতা নাইট রাইডার্স দল। —ফাইল চিত্র।
গ্রুপ পর্বে এক বারই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেটা ছিল কেকেআরের প্রথম ম্যাচ। ইডেন গার্ডেন্সে টান টান ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৪ রানে জিতেছিল কলকাতা। তার পরে জল অনেক দূর গড়িয়েছে। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে শেষ করেছে কলকাতা। দ্বিতীয় স্থানে হায়দরাবাদ। মঙ্গলবার, আমদাবাদে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি তারা।
প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতলে সরাসরি ফাইনালে উঠতে পারবে কেকেআর। তাই এই ম্যাচ জয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। হায়দরাবাদের ব্যাটিং আক্রমণ খুব শক্তিশালী। বোলিংয়েও বৈচিত্র রয়েছে। তাদের হারাতে কেকেআর কোন পাঁচটি পরিকল্পনা করতে পারে।
১) শুরুতে স্পিন আক্রমণ— হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রেভিস হেড ও অভিষেক শর্মা খুব ভাল ফর্মে রয়েছেন। পেসারদের বিরুদ্ধে অবলীলায় বড় শট খেলতে পারেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে শুরুতে স্পিন আক্রমণ কাজে লাগাতে পারে কেকেআর। চলতি আইপিএলে দেখা গিয়েছে, স্পিনের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও নড়বড়ে তাঁরা। কেকেআরে সুনীল নারাইন ও বরুণ চক্রবর্তী রয়েছেন, যাঁরা পাওয়ার প্লে-তে বল করতে পারেন। তাই হায়দরাবাদের দুই ওপেনারের বিরুদ্ধে শুরুতে স্পিনারদের হাতে বল তুলে দিতে পারেন শ্রেয়স আয়ার।
২) বলের গতির হেরফের— হায়দরাবাদের বেশির ভাগ ব্যাটার হার্ড হিটার। অর্থাৎ, খুব জোরে বল মারেন। দুই ওপেনার ছাড়াও রাহুল ত্রিপাঠি, নীতীশ রেড্ডি, হেনরিখ ক্লাসেন, আব্দুল সামাদেরা সেই তালিকায় পড়েন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে বলের গতির হেরফের করতে হবে পেসারদের। অনেক সময় মন্থর বল জোরে মারতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন ব্যাটারেরা। বলের গতির হেরফের হলে ব্যাটারেরা শট খেলার আগে কিছুটা হলেও চিন্তা করবেন।
৩) বোলিং পাওয়ার প্লে-তে রান কম দেওয়া— হায়দরাবাদের দুই ওপেনার পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে রান করেন। চলতি মরসুমে যে কয়েকটি ম্যাচে হায়দরাবাদ ২০০-র বেশি রান করেছে, প্রতিটিতে দুই ওপেনার ভাল শুরু করেছেন। পাওয়ার প্লে-তেই বড় রান তুলেছেন তাঁরা। তাই কেকেআরকে পাওয়ার প্লে-র জন্য আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে। পাওয়ার প্লে-তে রান কম দিলে পরে চাপে পড়বে হায়দরাবাদ।
৪) ব্যাটিং পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো— কেকেআরও যে কয়েকটি ম্যাচে ২০০-র বেশি রান করেছে, সেখানে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়েছে তারা। সুনীল নারাইন ও ফিল সল্টের জুটি কেকেআরকে ভাল শুরু দিয়েছে। প্লে-অফে সল্ট নেই। তাঁর অভাব ঢাকতে হবে রহমানুল্লা গুরবাজ়কে। প্রথম ছ’ওভারে বড় রান তুলতে পারলে লড়াইয়ে এগিয়ে যাবে কেকেআর।
৫) স্পিনারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ— হায়দরাবাদের পেস আক্রমণ ভাল। ভুবনেশ্বর কুমার, প্যাট কামিন্স, টি নটরাজনেরা ভাল বল করছেন। তুলনায় স্পিন আক্রমণ দুর্বল। বিজয়কান্ত বিয়াসকান্তের বল ঘুরছে। কিন্তু তাঁর অভিজ্ঞতা কম। শাহবাজ় আহমেদ আবার বেশি স্পিন করান না। এই দুই বোলারকে নিশানা করতে হবে। স্পিনারেরা রান দিলে পেসারদের উপরেও চাপ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে কামিন্সের পরিকল্পনায় গোলমাল হয়ে যেতে পারে।