২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল ইডেনে খেলা শেষ ম্যাচে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
২৩ এপ্রিল, ২০২৩। তারিখটা ইডেন গার্ডেন্সের ক্লাব হাউসে নতুন তৈরি হওয়া সংগ্রহশালায় বাঁধিয়ে রাখতে পারেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (সিএবি) কর্তারা। কারণ ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সে দিনই শেষ বার পা রেখে ছিলেন ইডেনে।
ভারতকে জোড়া বিশ্বকাপ দেওয়া ক্রিকেট অধিনায়ক হয়তো ভবিষ্যতে অনেক বারই ইডেনে আসবেন। হয়তো প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসাবে আসবেন। সে জন্যই ‘শেষ বার’। আইপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি অনুযায়ী, এ বার কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস মুখোমুখি হবে এক বার। আগামী ৮ এপ্রিল, সোমবার সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চেন্নাইয়ে। তাই এ বার আর কলকাতায় খেলতে আসবেন না ধোনি।
আইপিএল শুরুর আগের দিন চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মাহি। আইপিএল শেষে হয়তো ক্রিকেটকেও পাকাপাকি ভাবে বিদায় জানাবেন। ধোনি নিজে অবসর নিয়ে অবশ্য কিছু বলেননি। তবে তাঁর হাবভাব দেখে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অবসর নেওয়ার আগে চেন্নাইকে আরও এক বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করতে চেয়েছিলেন ধোনি। গত বছর অধিনায়ক হিসাবে চ্যাম্পিয়ন করেছেন পঞ্চম বার। নেতৃত্ব ছেড়ে এ বার ধোনি তাই সাধারণ ক্রিকেটার। ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো ধোনি এখন ৪২। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসাবে সর্বোচ্চ পর্যায় ক্রিকেট খেলে যাওয়া এই বয়সে বেশ কঠিন। ধোনি এখন শুধু আইপিএল খেলেন। চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছেন তরুণ রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে। প্রয়োজনে মাঠে তাঁকে পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রিয় সিএসকে-কে নিয়ে ধোনি তাই নিশ্চিত হতে পারেন। জল্পনা সত্যি করে ধোনি সত্যিই আইপিএল শেষে অবসর নিলে, কলকাতার ইডেনে নিজের শেষ ম্যাচ তাঁর খেলা হয়ে গিয়েছে গত বছর ২৩ এপ্রিল। তিলোত্তমার ক্রিকেটপ্রেমীরা আর গ্যালারিতে বসে তাঁর খেলা উপভোগ করতে পারবেন না।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের সম্পর্ক ধোনি হয়ে ওঠার আগে থেকে। খড়গপুর স্টেশনে টিকিট পরীক্ষকের কাজ করার সময় থেকে। পরে এ শহরের জামাই হয়েছেন ধোনি। স্বভাবতই এ শহরে ধোনির আলাদা জনপ্রিয়তা রয়েছে। ইডেনে ধোনির খেলা দেখার সুযোগ আর হবে না— এই খবরে হতাশ হতে পারেন কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু মেনে নেওয়া ছাড়া উপায়ই বা কী? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইপিএলের যে সূচি দিয়েছে, তাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার এবং ফাইনাল রয়েছে চেন্নাইতে। সিএসকে সমর্থকেরা তাঁদের প্রিয় থালাকে ক্রিকেটার হিসাবে শেষ বার ঘরের মাঠে খেলতে দেখার সুযোগ পেতে পারেন।