দুরন্ত: এ রকম আগ্রাসী মেজাজেই ছিলেন ম্যাচে বাটলার। ফাইল চিত্র।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে মরসুমের শুরুর দিকে মাঝের দিকে ব্যাট করতে নামছিলেন জস বাটলার। মাঝের ওভারগুলোয় রানের গতি বজায় রাখার কাজ করতে পারছিলেন না তিনি। শেষ কয়েকটি ম্যাচে ওপেনারের ভূমিকা পালন করতেও দেখা যায় তাঁকে। তবুও ব্যাটে সাফল্য আসছিল না। রবিবার সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ওপেনারের ভূমিকাতেই বাজিমাত ইংল্যান্ড তারকার।
মাত্র ৬৪ বলে ১২৪ রানের ইনিংসকে বাটলার সাজিয়েছেন ১১টি চার ও আটটি ছয়ের সৌজন্যে। আইপিএলের শুরুর দিকে ছন্দ হারিয়ে বাটলার ভেবেছিলেন, তাঁর হাতের সব রকম শট হয়তো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁর আত্মবিশ্বাস ফেরাতে সাহায্য করেন রাজস্থান রয়্যালসের টিম ডিরেক্টর কুমার সঙ্গকারা। ম্যাচ শেষে ক্রিস মরিসকে এক সাক্ষাৎকারে বাটলার বলেছেন, ‘‘এত দিন পরে বাইশ গজে এতটা সময় কাটাতে পেরে দারুণ লাগছে। ব্যাটের মাঝখান দিয়ে একাধিক শট নিতে পারার অনুভূতিই অন্য রকম।’’ যোগ করেন, ‘‘ছন্দ হারিয়ে এক সময় মনে হত যে, ব্যাটের গ্রিপ কী রকম ধরলে রান আসবে। তবে আজ কোনও রকম ভয় পাইনি। প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে এক উইকেট হারালেও বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করে গিয়েছি।’’
গত ম্যাচে শট নেওয়ার সাহসই পাচ্ছিলেন না বাটলার। ভয় পাচ্ছিলেন উইকেট হারানোর। সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কী করে এতটা মরিয়া হয়ে উঠলেন বাটলার? তাঁর উত্তর, ‘‘আমাকে সাহায্য করেছে সঙ্গকারার বেশ কিছু পরামর্শ। সঙ্গকারা আমাকে বলেছে, শট খেলার সময় আমি যেন শরীরের ভারসাম্য না হারাই। অতিরিক্ত জোরে বল মারারও প্রয়োজন নেই। আমি যেন ব্যাট ও বলের সংযোগের জন্য ঠিক সময়ের উপরে নজর দিই। এই পরামর্শ মেনেই আমি সফল।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘দ্রুত ছন্দে ফেরার জন্য তাড়াহুড়ো করেছি। নিজেকে আরও বেশি সময় দেওয়া উচিত ছিল আমার। এই ইনিংসটায় কম বলে রান পেলেও আমি কিন্তু অতিরিক্ত কিছু করতে যাইনি। এটাই আমার সাফল্যের চাবিকাঠি।’’
বাটলার বলেছেন, ‘‘ওপেনার হিসেবে রান করার অনেক বেশি সুযোগ থাকে। মাঝের সারিতে ব্যাট করলে সেঞ্চুরি করার সুযোগ খুবই কম পাওয়া যায়। টি-টোয়েন্টিতে আরও একটি সেঞ্চুরি পেলাম কিন্তু ওপেনার হিসেবেই। এ বারে অ্যালেস্টেয়ার কুক আর বলতে পারবে না আমার চেয়ে টি-টোয়েন্টিতে ওর সেঞ্চুরির সংখ্যা বেশি।’’