জয়ের পর চুম্বন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মঁফিস ও সোয়াইতোলিনা। ছবি: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ সহজেই জিতলেন মহিলাদের দ্বিতীয় বাছাই ইগা শিয়নটেক ও পুরুষদের শীর্ষ বাছাই ইয়ানিক সিনার। তবে নজর কাড়লেন এলিনা সোয়াইতোলিনা ও গেল মঁফিস। রেকর্ড গড়েছেন এই দম্পতি।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে সোয়াইতোলিনা ও মঁফিস দু’জনেরই প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চতুর্থ বাছাই তারকা। সোয়াইতোলিনার সামনে ইটালির জেসমিন পাওলিনি। মঁফিসের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আমেরিকার টেলর ফ্রিৎজ়। মার্গারেট কোর্টে প্রথমে খেলা ছিল মঁফিস ও ফ্রিৎজ়ের। সেখানে প্রথম সেট হারেন মঁফিস। কিন্তু পরের তিনটি সেট জিতে (৩-৬, ৭-৫, ৭-৬, ৬-৪) ম্যাচ জিতে যান তিনি। গ্র্যান্ড স্ল্যামে রেকর্ড গড়েছেন ৩৮ বছরের মঁফিস। তিনিই বয়স্কতম খেলোয়াড় যিনি প্রথম পাঁচের মধ্যে থাকা কোনও খেলোয়াড়কে হারিয়েছেন।
মঁফিসদের পরেই ম্যাচ ছিল সোয়াইতোলিনার। তাই আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের টেনিস খেলোয়াড়। নিজের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হওয়ার মাঝেই নিজের ফরাসি স্বামীর ম্যাচের দিকে নজর রাখছিলেন তিনি। মঁফিস জেতার পরেই দেখা যায় উল্লাস করছেন সোয়াইতোলিনা। পরে নিজেও মহিলাদের চতুর্থ বাছাইকে হারান তিনি। দু’জনের জয়ের ধরনটাও অনেকটা একই। মঁফিসের মতোই প্রথম সেট হারেন সোয়াইতোলিনা। কিন্তু পরের দুই সেট জিতে (২-৬, ৬-৪, ৬-০) ম্যাচ জেতেন তিনি। তাঁর খেলার সময় কোর্টের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মঁফিস। খেলা শেষে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন তাঁরা। গ্র্যান্ড স্ল্যামের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দম্পতি একই দিনে পর পর বিশ্বের একই ক্রমতালিকায় থাকা দুই খেলোয়াড়কে হারালেন।
তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে এমা রাডুকানুর বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল শিয়নটেকের। বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর শিয়নটেক স্ট্রেট সেটে জেতেন (৬-১, ৬-০)। রাডুকানুকে দাঁড়াতে দেননি পোল্যান্ডের তারকা। যে ভাবে তিনি এগোচ্ছেন তাতে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের অন্যতম দাবিদার মনে করছেন অনেকে। শনিবার প্রথম দশের মধ্যে থাকা এলিনা রিবাকিনা, দারিয়া কাসাতকিনা ও এমা নাভারো নিজেদের ম্যাচ জেতেন।
পুরুষদের সিঙ্গলসে স্ট্রেট সেটে (৬-৩, ৬-৪, ৬-২) মার্কোস জিরোনকে হারিয়েছেন সিনার। দাপট দেখিয়েছেন পুরুষদের শীর্ষ বাছাই। হোলগার রুন ও অ্যালেক্স ডি মিনাউরও নিজেদের ম্যাচ জিতেছেন।