(বাঁ দিকে) গোরান ইভানিসেভিচ এবং এমানুয়েল ইভানিসেভিচ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতায় খেলতে আসছে এমানুয়েল ইভানিসেভিচ। ২০০১ সালের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন গোরান ইভানিসেভিচের ছেলে। এই শহরে হবে ছোটদের আন্তর্জাতিক টেনিস প্রতিযোগিতা। সেখানেই খেলবে এমানুয়েল।
বেঙ্গল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কোর্টে ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারি চলবে প্রতিযোগিতা। বালক এবং বালিকা দু’বিভাগে সিঙ্গসলে খেলবে ৩২ জন করে। ডাবলসে থাকবে ১৬টি করে জুটি। শুক্রবার খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করল। প্রতিযোগিতার আকর্ষণ এমানুয়েল।
ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ) অনুমোদিত এই প্রতিযোগিতা জে ২০০ পর্যায়ের। অর্থাৎ, সিঙ্গলস চ্যাম্পিয়নেরা ২০০ র্যাঙ্কিং পয়েন্ট পাবেন। কলকাতার কোর্টে খেলতে দেখা যাবে বেশ কিছু বিদেশি খেলোয়াড়কে। তাদেরই অন্যতম এমানুয়েল ইভানিসেভিচ। নাম শুনে টেনিসপ্রেমীরা ক্রোয়েশিয়ার কিশোর খেলোয়াড় সম্পর্কে একটা ধারণা পেতেই পারেন। ২০০১ সালের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন গোরান ইভানিসেভিচের পুত্র এমানুয়েল। কিছু দিন আগেও নোভাক জোকোভিচের কোচ ছিলেন ইভানিসেভিচ। এখন তিনি এলিনা রিবাকিনার কোচ। ক্রোয়েশিয়ার ডেভিস কাপ এবং হপম্যান কাপজয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি। বিশ্বের প্রাক্তন ২ নম্বর টেনিস খেলোয়াড়কে ডেভিস কাপে সিঙ্গলস ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছিলেন লিয়েন্ডার পেজ।
আইটিএফ ক্রমতালিকা অনুযায়ী এমানুয়েল এখন বিশ্বের ১৪২ নম্বর সিঙ্গলস খেলোয়াড়। এমানুয়েল ছোটদের টেনিসে এখনও তেমন কিছু করে দেখাতে পারেনি। খ্যাতনামী বাবার ছেলে হওয়াতেই সে আকর্ষণের কেন্দ্রে। জানুয়ারির শুরুতে দিল্লিতে জে ৩০০ পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ভারতের অর্ণব পাপারকরের কাছে হেরে গিয়েছিলেন এমানুয়েল। এখন তিনি রয়েছেন চণ্ডীগড়ে। সেখানে জে ২০০ পর্যায়ের প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার ডংহুইন হাওয়াংয়ের কাছে হেরে গিয়েছেন সরাসরি সেটে।
আমেরিকা, কানাডা, সার্বিয়া, জাপান, ফ্রান্স, রাশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, কাজাখস্তান-সহ বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়েরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বালকদের সিঙ্গলসে ভারতের অন্তত ন’জন এবং বালিকাদের সিঙ্গলসে ভারতের অন্তত আট জনের খেলা নিশ্চিত। দুই সিঙ্গলসেই ২২ জন করে সরাসরি খেলার সুযোগ পাচ্ছে। চার জন করে ওয়াইল্ড কার্ড পাচ্ছে। সব ওয়াইল্ড কার্ডই পেয়েছে আয়োজক ভারতের খেলোয়াড়েরা। দু’জন করে খেলোয়াড়কে বিশেষ ভাবে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চার জন করে মূলপর্বে উঠবে যোগ্যতা অর্জনপর্ব থেকে। দু’বিভাগে দু’জন করে পশ্চিমবঙ্গের মোট চার জন ওয়াইল্ড কার্ড পেয়েছে। তারা হল শৌনক চট্টোপাধ্যায়, শৌর্য্য স্বরূপ, আলিনা ফারিদ, সৈজয়নী বন্দ্যোপাধ্যায়।