Sunil Chhetri

কখনও ভাবিনি এক দিন দেশের হয়ে খেলব: সুনীল ছেত্রী

পাকিস্তানের কোয়েটায় ২০০৫ সালে ভারতীয় দলে অভিষেক হয় সুনীলের। অথচ দেশের হয়ে এক দিন খেলতে নামবেন, কখনও ভাবেননি তিনি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৩
কিংবন্তি: গুয়াহাটিতে প্রস্তুতিতে মগ্ন সুনীল। এআইএফএফ

কিংবন্তি: গুয়াহাটিতে প্রস্তুতিতে মগ্ন সুনীল। এআইএফএফ

প্রায় দু’দশক ধরে ভারতীয় দলের প্রধান ভরসা তিনি। ১৪৯ ম্যাচে ৯৩টি গোল করেছেন। দেশের হয়ে জিতেছেন ১১টি ট্রফি। সেই সুনীল ছেত্রী এ বার নতুন কীর্তির সামনে দাঁড়িয়ে। মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১৫০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামবেন।

Advertisement

পাকিস্তানের কোয়েটায় ২০০৫ সালে ভারতীয় দলে অভিষেক হয় সুনীলের। অথচ দেশের হয়ে এক দিন খেলতে নামবেন, কখনও ভাবেননি তিনি। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুনীল খোলাখুলি বলেছেন, ‘‘ফুটবল যখন শুরু করেছিলাম, কখনওই ভাবিনি এক দিন দেশের হয়ে খেলব। দিল্লিতে সুব্রত কাপে খেলার সময়ও ভারতের হয়ে খেলার কথা ভাবিনি বা স্বপ্ন দেখিনি। সত্যি কথা বলতে, কয়েক দিন আগেও জানতাম না, এ রকম একটা নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’’ যোগ করেন, ‘‘যখন এই বিষয়টা নিয়ে ভাবি, তখন মনে হয় অবিশ্বাস্য। কারণ, একমাত্র আমি ভারতের হয়ে ১৫০তম ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতে চলেছি। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান ও সকলের কাছে কৃতজ্ঞ এই জায়গায় পৌঁছতে পারার জন্য।’’

ভারতের হয়ে নিজের ২৫, ৫০, ৭৫, ১০০ ও ১২৫তম ম্যাচ সুনীল স্মরণীয় করে রেখেছেন গোল করেই। মঙ্গলবার ১৫০তম ম্যাচেও কি তার পুনরাবৃত্তি হবে? ভারত অধিনায়কের কথায়, ‘‘পরিসংখ্যানের ব্যাপারে আমি খুব একটা ওয়াকিবহাল নই। অন্য কোনও ফুটবলারদেরও এই প্রশ্ন করলে একই উত্তর পাওয়া যাবে। যদি কেউ নিজের পরিসংখ্যান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেও, খেলা শুরুর বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে
সব ভুলে যায়।’’

২০০৫ থেকে ২০২৪— ভারতের হয়ে খেলা ১৪৯টি ম্যাচের সবচেয়ে কঠিন কোনটি ছিল? সুনীল বলছেন, ‘‘একাধিক ম্যাচ খুব কঠিন। মনে পড়ছে, ২০১১ সালে এএফসি এশিয়ান কাপের পরে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে মায়ানমারের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে খুব খারাপ ভাবে হেরেছিলাম। ২০১৫ সালের এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারার অন্যতম কারণ ছিল এই হার।’’

গত দু’দশকে তিনি নিজে কতটা বদলে গিয়েছেন, তা-ও জানিয়েছেন। সুনীলের কথায়, ‘‘বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতাও বেড়েছে। তবে আগে আমি অনেক বেশি সাহসী ছিলাম। এখন অবশ্য কী করতে হবে জানি। আবার কী করা উচিত নয় তা-ও জানি।’’ নজিরের সামনে দাঁড়ানো সুনীল কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ সুখবিন্দর সিংহকেও। বলেছেন, ‘‘সুখি স্যর আমার শিক্ষক ছিলেন। ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমাকে নিজের স্বাভাবিক খেলা
খেলতে দিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement