মঙ্গলবার কুয়েতের বিরুদ্ধে জয়ের পর ভারতীয় ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই
কুয়েতের বিরুদ্ধে সাফ ফুটবলের ফাইনালে জয় আসতেই উচ্ছ্বাসের বাধ ভাঙল সুনীল ছেত্রীদের। কান্তিরাভা স্টেডিয়ামের দর্শকরা ‘বন্দেমাতরম’ গান ধরেছিলেন। উড়ছিল জাতীয় পতাকা। ফুটবল নিয়ে ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের এমন আবেগ অনেক দিন পর দেখা গেল। যে আবেগে ভেসে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এলেন ভারতীয় দলের নীল জার্সি পরে। দুধের শিশুকে নিয়েই সুনীলদের খেলা দেখতে এসেছিলেন এক মা।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দর্শকদের অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন গুরপ্রীত সান্ধু, সন্দেশ ঝিঙ্ঘানেরা। তার মাঝেই জানালেন প্রতিক্রিয়া। কেউ-ই তখন কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। তবু বলার চেষ্টা করলেন। ফাইনালের নায়ক গুরপ্রীত কৃতিত্ব দিলেন সতীর্থদের লড়াকু মনোভাবকে। অধিনায়ক সুনীল বললেন, ‘‘ফাইনাল ম্যাচ সহজ হবে না জানতাম আমরা। পর পর দু’টো ম্যাচ টাই ব্রেকার পর্যন্ত লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হলাম। তা ছাড়া পর পর প্রতিযোগিতা খেলছি আমরা। টানা ম্যাচ খেলার ধকল কম নয়। তবে দলের সবাই অনেক দিন এক সঙ্গে রয়েছি। বলতে পারেন এই ট্রফি তারই সুফল।’’ ছ’টি গোল করে সাফ কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলারও তিনি।
জাতীয় দলের আরেক অভিজ্ঞ ফুটবলার ঝিঙ্ঘনও উচ্ছ্বাস গোপন করলেন না। লেবানন, কুয়েতের মতো দলকে হারিয়ে সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বাস একটু বেশিই। তিনি বললেন, ‘‘এই জয়ের কৃতিত্ব দর্শকদের। তাঁরা আমাদের সমানে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন।’’ কথা থামিয়ে তিনি দৌড়লেন সতীর্থদের সঙ্গে ছবি তুলতে। হারিয়ে গেলেন ভারতীয় ফুটবলারদের ভিড়। যে ভিড়ের মধ্যমণি ছিলেন সুনীল।
তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান জৌলুস হারাল অতিথিদের বিবেচনাহীনতায়। সুনীলদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার পরেও মঞ্চ ছাড়লেন না তাঁরা। সামনে দাঁড়িয়ে রইলেন ঠায়। ফলে মঙ্গলবার রাতের নায়কদের উচ্ছ্বাস অনেকটাই ঢাকা পড়ে গেল তাঁদের আড়ালে। ঢাকা পড়ে গেলেন সার ক্ষণ গ্যালারিতে বসে থাকা ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্তিমাচও।