অনুশীলনে ব্যস্ত ইংল্যান্ডের ফুটবলারেরা। ছবি: রয়টার্স।
ইউরো কাপে প্রথম ম্যাচে সার্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ড্র করেছে তারা। এখনও নিজেদের সুনাম অনুযায়ী খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলের সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ফুটবলারেরা। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছেন অধিনায়ক হ্যারি কেন। প্রাক্তনদের একহাত নিয়েছেন তিনি। তার মাঝেই ইংল্যান্ডের সাজঘরে গিয়ে ফুটবলারদের বার্তা দিয়েছেন রাজপুত্র উইলিয়ামস।
ডেনমার্কের বিরুদ্ধে খেলা শেষে ইংল্যান্ডের সাজঘরে গিয়েছিলেন উইলিয়ামস। বেশ কিছু ক্ষণ সেখানে ছিলেন রাজপুত্র। ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ইংল্যান্ড দল সূত্রে খবর, ফুটবলারদের ঠান্ডা মাথায় খেলার পরামর্শ দিয়েছেন উইলিয়ামস। বাইরের কোনও কথায় তাঁদের কান দিতে নিষেধ করেছেন তিনি। একটি ম্যাচ ড্র হওয়ায় ফুটবলারদের হতাশ হতে নিষেধ করেছেন রাজপুত্র। তাঁর কথায় ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়েছে বলে খবর।
দলের ফুটবলারদের একতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন কেন। গ্রুপের শেষ ম্যাচে নামার আগে স্কোয়াডের সবাইকে এক জায়গায় ডেকেছিলেন কেন। সেখানে কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বা সাপোর্ট স্টাফেরা ছিলেন না। কোথায় সমস্যা হচ্ছে, সেই বিষয়ে আলোচনা করেন ফুটবলারেরা। দল হিসাবে তাঁরা ভাল খেলার শপথ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ড্র করার পরে কেনদের সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ডের দুই প্রাক্তন ফুটবলার গ্যারি লিনেকার ও অ্যালান শিয়ারার। বিশেষ করে কেনের সমালোচনা করেছেন তাঁরা। দুই প্রাক্তন ফুটবলারকে পাল্টা দিয়েছেন কেন। দলের অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমার মনে হয় ওঁদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমি জানি, সবাই নিজের মত প্রকাশ করতেই পারেন। কিন্তু প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে ওঁদের বোঝা উচিত যে, অনেকে ওঁদের দিকে নজর রাখেন। তাই কিছু বলার আগে ওঁদের আরও ভাবা উচিত। আমরা দেশের হয়ে খেলছি। ওঁরাও জানেন, ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে খেলা কতটা চাপের। তার মাঝে এই ধরনের কথা বলে দলকেই আরও বিপদে ফেলছেন ওঁরা।”
আগের দুই ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলেননি কেন। তাঁকে তুলে নিয়েছিলেন কোচ। কেন কি পুরো ফিট নন, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। তারও জবাব দিয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। তিনি বলেন, “আমার ফিটনেসের জন্য আমাকে তোলা হয়নি। কোচ সেই সময় অন্য কোনও পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই পরিকল্পনায় আমার বদলে অন্য কোনও ফুটবলার ভাল খেলতে পারত। তাই আমাকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। আমি ১০০ শতাংশ ফিট। আগের ম্যাচে গোল করেছি। আশা করছি, সামনের ম্যাচেও সেটা করতে পারব। আরও ভাল খেলার চেষ্টা করব।”
গ্রুপ সি-তে দু’ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে রয়েছে ইংল্যান্ড। তাদের শেষ ম্যাচ স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ড্র করতে পারলেই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের দরজা খুলে যাবে ইংল্যান্ডের জন্য। তবে জয় ছাড়া যে তাঁরা কিছুই ভাবছেন না, তা কেনদের কথাতেই স্পষ্ট।