Mohun Bagan

লিগ-শিল্ড জিতলেও ফাইনালে ব্যর্থ, পরের বছরেও কি মোহনবাগানের কোচ থাকবেন? জানালেন হাবাস

মরসুমের মাঝে ভেঙে পড়া, আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগতে থাকা একটা দলকে জিতিয়েছেন আইএসএলের লিগ-শিল্ড। তবে ফাইনালে হেরে গিয়েছে মোহনবাগান। মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানালেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৪ ০০:২৫
football

আন্তোনিয়া লোপেজ হাবাস। ছবি: এক্স।

মরসুমের মাঝে ভেঙে পড়া, আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগতে থাকা একটা দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দলকে শুধু ঘুরে দাঁড় করাননি, জিতিয়েছেন আইএসএলের লিগ-শিল্ড। তবে ফাইনালে মুম্বই সিটির কাছে হেরে গিয়েছে মোহনবাগান। ম্যাচের পর মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানালেন।

Advertisement

মোহনবাগানের কোচকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আর কি তাঁকে এই পদে দেখা যাবে? ইতিবাচক ভঙ্গিতে জবাব দিলেন, “ভারতেই যে আমার কোচিং জীবন শেষ করতে চাই এটা আগেই বলেছি। আপাতত ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আরও একটা বছর কোচ হিসাবে থাকতে পারি কি না সেটা নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছি।”

ফাইনালের আগের দিন হাবাসের একটি কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। শনিবারের ম্যাচের পরেই হাবাস কোচিং ছেড়ে দেবেন বলে নানা মহলে শোনা গিয়েছিল। হাবাস তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানান যে, আগামী মরসুমেও মোহনবাগানে থাকার কথা ভাবতে শুরু করেছেন। হাবাস বলেছিলেন, “শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে মোহনবাগানে থাকা প্রসঙ্গে আমি যে কথা বলেছিলাম, সেটার ব্যাখ্যা দিতে চাই। আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম যে, ভারতেই আমি নিজের কোচিং কেরিয়ার শেষ করতে চাই। এটাই আমার শেষ ম্যাচ বলিনি। আগামী মরসুমের জন্য ক্লাবের সঙ্গে আমার কথা শুরু হয়েছে।”

হাবাস মেনে নিয়েছেন, আর্মান্দো সাদিকু ফাইনালে খেলতে পারলে মোহনবাগানের জেতার সম্ভাবনা বাড়তে পারত। তিনি বলেছেন, “সাদিকু খুব আগ্রাসী খেলোয়াড়। মাঠের মধ্যে অনবরত ছটফট করতে পারে। দিমিত্রি বা কামিংসের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয় এবং আগ্রাসী। ও থাকলে আমাদের জেতার সম্ভাবনা নিঃসন্দেহে বাড়ত। তবে এখন তো আর ইতিহাস বদলানো যাবে না।”

জয়ের জন্য মুম্বইয়ের ভাল খেলারই প্রশংসা করেছেন। জানিয়েছেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুম্বই যে ভাবে দাপটের সঙ্গে খেলেছে তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি তাঁরা। হাবাসের কথায়, “প্রথম ৪৫ মিনিটে খুবই ভাল খেলেছে মুম্বই। আমরা গোল করলেও ভাল খেলেছে ওরাই। ওদের অভিনন্দন। ওরা নাগাড়ে আক্রমণ করে গিয়েছে। আমরা সেই তুলনায় আক্রমণে উঠতেই পারিনি। কোনও দল যখন নাগাড়ে আক্রমণ করে আর কোনও দল যদি রক্ষণ করতেই থাকে, তা হলে কে জিতবে সেটা বোঝাই যায়।”

ক্রমাগত ফাইনাল খেলে চলায় দলের মধ্যে আগ্রাসনের যে অভাব লক্ষ করা গিয়েছে সেটা উল্লেখ করেছেন হাবাস। লিগ পর্বে পঞ্জাব এবং বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মরণবাঁচন ম্যাচ, শেষ রাউন্ডে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ, সেমিফাইনালে ওড়িশা-দ্বৈরথ, সবক’টি ম্যাচকেই ফাইনাল বলে উল্লেখ করেছেন হাবাস। তাঁর মতে, আগের গুলি জিততে পারলেও শেষ ম্যাচে কোথাও একটা মনঃসংযোগের অভাব লক্ষ করা গিয়েছে ফুটবলারদের মধ্যে। তাই হারতে হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement