পিয়ারলেসকে হারিয়ে উল্লাস বাগানের ফুটবলারদের। ছবি: টুইটার
আগের ম্যাচ ড্র করায় কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে যেতে হলে মোহনবাগানকে জিততেই হত পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে। পিয়ারলেসের গোলরক্ষক সঞ্জয় ভট্টাচার্য অনেক চেষ্টা করেও দলকে বাঁচাতে পারেননি। প্রথমার্ধে করা একমাত্র গোলে ম্যাচ জেতে বাগান। এই জয়ের ফলে সুপার সিক্সের পথে এগোল সবুজ-মেরুন।
প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেছিল বাগান। গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল তারা। ২২ মিনিটের মাথায় পিয়ারলেসের রক্ষণ ভেঙে গোল করেন রোহেন। এগিয়ে যায় বাগান। পরের মিনিটেই কিয়ানের জোরালো শট বাঁচিয়ে দেন পিয়ারলেসের গোলরক্ষক সঞ্জয়। নইলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে দাপট দেখান বাগান ফুটবলারেরা। তাঁদের আটকাতে বক্সের বাইরে বুটের জঙ্গল তৈরি করে পিয়ারলেস। তার ফলে সুযোগ তৈরি হলেও গোল হচ্ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও রক্ষণাত্মক হয়ে যায় পিয়ারলেস। প্রায় পুরো দল নেমে আসে নিজেদের অর্ধে। ফলে একের পর এক সুযোগ পায় মোহনবাগান। কিয়ান, রোহেন, টাইসনেরা বার বার গোল করার জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছিলেন না। তার জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য সঞ্জয়ের। পিয়ারলেসের গোলরক্ষক গোটা ম্যাচে দুর্দান্ত খেললেন। শুধুমাত্র একটি গোল খাওয়া ছাড়া ভুল করেননি তিনি।
৮৫ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় পিয়ারলেস। কিন্তু গোল করতে পারেনি তারা। কোনও রকমে বল ক্লিয়ার করেন বাগানের অমনদীপ। তার পরে আর গোলের সুযোগ পায়নি পিয়ারলেস। শেষ পর্যন্ত ১-০ জিতে মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।
কলকাতা লিগের গ্রুপ এ-তে এখন চার নম্বরে রয়েছে মোহনবাগান। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৩। শীর্ষে থাকা মহমেডানের পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ২৮। দু’নম্বরে ডায়মন্ড হারবার। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৬। বাগানের ঠিক আগে রয়েছে কালীঘাট। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৪। অর্থাৎ, সুপার সিক্সে যেতে হলে বাকি দুই ম্যাচে অন্তত ১ পয়েন্ট পেতেই হবে সবুজ-মেরুনকে। তবে সেই দু’টি ম্যাচ সহজ হবে না বাগানের। কারণ, মহমেডান ও ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে খেলতে হবে তাদের।