রিয়ালের হতাশা বাড়াচ্ছেন এমবাপে। ছবি: রয়টার্স।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হওয়ার পর প্রথম বার হারের মুখ দেখতে হল রুবেন আমোরিমকে। বুধবার রাতে তাঁর দল ০-২ গোলে হেরেছে আর্সেনালের বিরুদ্ধে। এ দিকে, শীর্ষে থাকা লিভারপুল শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ড্র করেছে নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে। বার্সেলোনার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ হারাল রিয়াল মাদ্রিদ। তারা হেরে গিয়েছে অ্যাথলেটিক ক্লাবের কাছে। পেনাল্টি নষ্ট করে খলনায়ক কিলিয়ান এমবাপে।
চলতি মরসুমে সেট-পিস থেকে প্রচুর গোল করছে আর্সেনাল। সেই ধারা দেখা গেল ম্যান ইউ ম্যাচেও। ডেক্লান রাইসের কর্নার থেকে হেড করে ন’মিনিটে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন জারিয়েন টিম্বার। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে, বুকায়ো সাকার কর্নার থেকে টমাস পার্তের হেড শেষ মুহূর্তে উইলিয়াম সালিবার কোমরে লেগে গোলে ঢুকে যায়।
হেরে আমোরিম বলেছেন, “সেট-পিস খেলাটাকে শেষ করে দিল। আমাদের গোলকিপারের সামনে ওরা প্রচুর খেলোয়াড় জড়ো করেছিল। ফলে বল বার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।” আর্সেনালের কোচ মিকেল আর্তেতা বলেছেন, “আমরা সেট-পিস থেকে দুটো গোল করেছি ঠিকই। তবে আরও অনেক গোল করা উচিত ছিল।”
নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে লিভারপুল দু’বার পিছিয়ে পড়েও সমতা ফেরায়। আলেকজ়ান্ডার ইসাক নিউক্যাসলকে এগিয়ে দিলে সমতা ফেরান কার্টিস জোন্স। নিউক্যাসলকে দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে দেন অ্যান্টনি গর্ডন। এর পর জোড়া গোল করেন মহম্মদ সালাহ। তবে শেষ দিকে গোলকিপার কাওমিন কেলেহারের ভুলে গোল করেন ফ্যাবিয়ান স্কার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের বিরুদ্ধে পেনাল্টি নষ্ট করেছিলেন এমবাপে। অ্যাথলেটিকের বিরুদ্ধে আবার সেই জিনিস দেখা গেল। অ্যাথলেটিকের গোলকিপার জুলেন আগিরেজাবালা শট বাঁচান। একই দিকে বার বার শট নিতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন এমবাপে। তবু ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন না। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আলেজান্দ্রো বেরেনগুয়ের অ্যাথলেটিককে এগিয়ে দিলেও সমতা ফেরান জুড বেলিংহ্যাম। তবে এমবাপের পেনাল্টি নষ্টের পরেই গোল করে অ্যাথলেটিককে জেতান গোর্কা গুরুজ়েতা।