জুয়ান ফেরান্দো। —ফাইল ছবি
আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হায়দরাবাদ এফসি-র কাছে ১-৩ গোলে হেরেছে এটিকে মোহনবাগান। ফাইনালের ছাড়পত্র পেতে হলে বুধবার দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে তিন গোলের ব্যবধানে জিততে হবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয় বলেই মনে করেন মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো।
স্প্যানিশ কোচ মনে করেন ফুটবলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। তাঁর মতে, নিজেদের উপর আস্থা রেখে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে ফাইনালের দরজা খোলা অসম্ভব নয়। ম্যাচের আগের দিন ফেরান্দো জানিয়ে দিয়েছেন, নিজেদের পরিকল্পনার উপর জোর দিতে চান। হায়দরাবাদ কেমন খেলবে, সেদিকে নজর রেখে বদলাতে পারেন পরিকল্পনা। ফেরান্দো মানছেন পরিস্থিতি সহজ নয়। মোহনবাগান কোচের বক্তব্য, ভাল পরিকল্পনার সঙ্গে দরকার সঠিক মানসিকতা। তিনি পেশাদার পারফরম্যান্স চান ফুটবলারদের থেকে।
রয় কৃষ্ণাকে কেন উইং থেকে ব্যবহার করছেন প্রতিযোগিতার শেষে দিকে? তিনি বলেছেন, ‘‘রয় যখন শেষবার উইঙ্গার হিসেবে খেলেছিল, তখন সাফল্য পেয়েছে। চেন্নাইনের বিরুদ্ধে গোলও করেছিল। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও গোল পেয়েছিল। জায়গা তৈরি করা ও কাজে লাগানোটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই কাউকে নিয়েই কোনও সমস্যা নেই। প্রথম লেগে ডিফেন্সের গাফিলতি নিয়ে ফেরান্দো বলেছেন, ‘‘টানা খেলতে খেলতে অনেক সময় বোঝাপড়ার সমস্যা হয়। অজুহাত দেব না। ওদের মুখ দেখেই বুঝেছিলাম, সকলেই খুব ক্লান্ত ছিল। মাঝে মাঝে ছোট খাট ভুল হয়। ফোকাস ঠিক থাকে না। শেষ ম্যাচে তেমনই হয়ে ছিল।’’
দলের উন্নতির অনেক জায়গা আছে বলে মনে করেন মোহনবাগান কোচ। তবে সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছেন মানসিকতায়। বলেছেন, ‘‘১-০ ব্যবধানকে ২-০ করা, ২-০ ব্যবধান ৩-০ করার মানসিকতা দরকার।’’ তাঁর দাবি, ফুটবলাররা নিজের উপর আস্থা রেখে খেলতে পারলে ৯০ মিনিটে তিন গোল হওয়া অসম্ভব নয়। জৈব বলয়ে দীর্ঘ দিন থাকার ক্লান্তিও ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন তিনি।
ফেরান্দোকে চিন্তায় রেখেছে ফুটবলারদের চোট সমস্যাও। জানিয়েছেন, ডেভিড উইলিয়ামস, হুগো বুমোসেদের অবস্থা ভাল নয়। ৯০ মিনিট খেলার অবস্থায় নেই কৃষ্ণাও। মনবীর সিংহের হাঁটুতেও চোট রয়েছে। ফেরান্দোর বিশ্বাস, বুধবার ফুটবলাররা নিজেদের ১০০ শতাংশ দিলে রবিবারের ফাইনালে দেখা যেতেই পারে তাঁর দলকে।